ফ্ল্যাপে লিখা কথা কলকাতার প্রায় প্রতিটি বাড়ির পিছনে আছে দীর্ঘ ইতিহাস এবং সেই ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন একজন অধিষ্ঠিত দেবতা বা দেবী। তাঁদের ঘিরেই গড়ে উঠেছে এক একটি এইরকম বনেদী বাড়ির ইতিকথা। কিন্তু সেই ইতিকথার সবটুকুই শুধু দেব-দেবীর কথা বা পাঁচালী মাত্র নয়। সেই ইতিকথায় আছে মানুষের গৌরবোজ্জ্বল কীর্তিগাথা যা সেই বাড়ির মানুষদের গর্ব ও অহঙ্কারের মূলধন, আর আছে বনেদী-পরিবারের পাপপুন্যের নানা ঘটনা, আছে প্রেম-আশাভঙ্গ আনন্দ-বেদনার অকথিত কাহিনী, অট্রালিকার ইট-কাঠ দেউড়ি-খিলানে জমে আছে পরিবারের কত না নরনারীর দুঃখ জমাট দীর্ঘশ্বাস। এই রকম একটি অট্রালিকার পটভূমিতে রচিত বর্তমান উপন্যাস, সেই পরিবারের অধিষ্ঠাত্রী দেবীই হলেন ‘সিংহবাহিনী’ । এই উপন্যাসে যেমন আছে দেবীর প্রতিষ্ঠিতা হওয়ার কাহিনী, তেমনিই আছে মানুষের উত্থান ও পতনের কাহিনী, আছে মানুষের চিরন্তন লোভ লালসা ব্যথা-বেদনা , আকাঙ্ক্ষা-হতাশার কাহিনী, আছে সর্ব তুচ্ছতাকে অতিক্রম করে মানবতায় উত্তরণের জন্য নারীর জীবনজয়ী সংগ্রামের কথা।