“আগুন পাখি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: গাঁয়ের একটি মেয়ে, বাপের বাড়ি শ্বশুরবাড়ির বাইরে সে জানে চারপাশের মানুষজনকে, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই হিন্দু। হিন্দু বলে তারা যে আলাদা, তেমন তাে কিছু বােঝে না সে। গভীর মমতায় সে গড়ে তােলে তাদের বড় একান্নবর্তী সংসার, আর রাতের নিরালায়। স্বামীর কাছে শিখে নেয় অল্পস্বল্প লেখাপড়া। সুখদুঃখের নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে দেখে কেমন করে তার স্বামী জড়িয়ে পড়ে। সামাজিক কাজে, হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের কাছেই কতটা প্রিয় এক নেতা হয়ে ওঠে সে। কিন্তু হঠাৎ যেন পালটে যায় সব। তাদের একান্নবর্তী সংসারেও ধরে ভাঙন, আর বাইরেও কোথা থেকে রব ওঠে। যে দেশটাও না কি হয়ে যাবে ভাগ। তা কী করে হয় ? দেশ আবার ভাগ হয় কেমন করে ? অবিশ্বাস্য সেই ঘটনাও সত্য হলাে। একদিন মুসলমান পাড়া-প্রতিবেশীরা চলে যেতে লাগল ভিটে ছেড়ে। পরিজনেরাও। ‘ কিন্তু সে? না, সে কিছুতেই যাবে না, ‘কেননা, সে বলে : ‘আমাকে কেউ। বােঝাইতে পারলে না ক্যানে আলেদা একটো দ্যাশ হয়েছে, …[কেন] এই দ্যাশটি আমার লয়। সেই মেয়েটির মুখের আটপৌরে ভাষায় বলা এ এক বুকভাঙা দেশভাগের গল্প।