“গোয়েন্দা সমগ্র” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
গোয়েন্দা বা রহস্যকাহিনি লিখতে শুরু করেছিলাম আমার অগ্রজপ্রতিম বন্ধু, প্রসাদ পত্রিকার একদা সহসম্পাদক, প্রয়াত, প্রণব বিশ্বাসের অনুরােধে। তার আগে আমার জগৎটা ছিল নাটক, আঁকাজোকা আর ছােটগল্প লেখা। প্রসাদ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ১৯৭০ থেকে। চারদিকে তখন টালমাটাল অবস্থা। প্রতিদিনই কাগজে রক্তঝরা খবর। ইতিমধ্যে আনন্দবাজার, দেশ, নবকল্লোল, যুগান্তর, অমৃত ও প্রসাদ পত্রিকায় আঁকতে ঢুকে অল্পস্বল্প লেখাও চলতে থাকে। হঠাই প্রণব বিশ্বাস বলেন, রহস্যকাহিনির ভাল চাহিদা। রহস্য নিয়ে লিখুন। সেই শুরু আমার। গােয়েন্দাকাহিনির রহস্যভেদী নীল ব্যানার্জি আমারই মতাে হঠাৎ রহস্যের জালে জড়িয়ে পড়ে তার। অন্তরঙ্গ বন্ধু সমুদ্রের আকস্মিক মৃত্যুতে। নীলের মনে হয়েছিল মৃত্যুটা স্বাভাবিক নয়। পরে সেটাই খুন বলে প্রমাণিত হয়। শুরু হয় নীলের গােয়েন্দা জীবন। আমার গােয়েন্দাকাহিনিতে আরও তিন কিশাের আছে। থ্রি মাস্কেটিয়ার্স। তাতন, শুভ্র আর বুম্বা। তিনজনেই আবার তাদের নীলকাকর ভীষণ ভক্ত। কখনও তারা নিজেরা এককভাবে রহস্য সমাধান করেছে, কখনও আবার নীলকাকুর সাহায্য নিয়েছে।