“চীন-ভারত লঙ মার্চ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
মাও সে তুঙ-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে একদল তরুণ অত্যন্ত বুদ্ধিমান কৃতী ছাত্র ভারতবর্ষের শাসন-ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে চেয়েছিল ষাট থেকে সত্তরের দশকে। কেন্দ্রীয় শাসন তখন মূলত নেহরু-ডাইনেস্টির কব্জায়। পশ্চিমবঙ্গে প্রথমদিকে কংগ্রেসি সিদ্ধার্থশঙ্করের এবং পরে বামফ্রন্টের জ্যোতি বসুর নিষ্ঠুর শাসনে এই অভ্যুত্থানকে নির্মমভাবে পিষে ফেলা হয়। শাসকদলের মতে ওরা ছিল ভ্রান্ত। শাসকদল—কী কেন্দ্রীয় সরকারের কংগ্রেস, কী প্রাদেশিক বামফ্রন্ট—ওদের মত ও পথকে স্বাভাবিক হেতুতে ভয় করত। বিদ্রোহ দমনে তাই সব শাসকই একমত হয়েছিলেন। যাঁরা সেকালকে দেখেছেন তারা জানেন নকশালবাড়ির নেতারা, কর্মীরা কতদূর সাচ্চা দেশপ্রেমী ছিলেন। অনেক মধ্যবিত্ত বাঙালি তাদের মূর্তিভাঙা, পুলিশ হত্যা বা ল্যাবরেটরি পুড়িয়ে দেওয়ার মতাে কাজে বীতশ্রদ্ধ হলেও কেউ কোনােদিন বলেননি ওঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। চারু মজুমদার, সুশীতল রায়চৌধুরী, সরােজ দত্ত আর অসংখ্য মায়ের কোল খালি করা হিরে পান্নাকে আমরা যেন ভুলে না যাই।