ষাটের দশকে ‘নৈমিষারণ্য’-গ্রন্থের প্রথম প্রকাশকালে। বাঙলা ব্যবচ্ছেদের পর এবং অরণ্যযাত্রার পূর্বে উদ্বাস্তুদের জীবনে এসেছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পি. এল. ক্যাম্পের সেই পরনির্ভরশীল জীবন এবং আর্বান-রুরালজবরদখল কলােনিতে ওদের সেই জীবন-সংগ্রামের কথা না জানলে বাস্তুচ্যুত সেই মানুষগুলির অরণ্যবাসের চিত্র সম্পূর্ণ দেখা হয় না। অথচ ওদের সে জীবনের চিত্র আঁকতে গেলে এ বৃহদায়তন উপন্যাসের কলেবর যেত আরও বেড়ে। এইজন্য উদ্বাস্তু-জীবনের। ঐ দুটি পটভূমিকার উপর রচিত ইতিপূর্বে প্রকাশিত দুটি বাঙলা উপন্যাসের এখন স্বীকার করায় আপত্তি কী? এখানে বকুলতলা পি. এল. ক্যাম্প’ ও বল্মীক’ গ্রন্থদ্বয়ের কথা বলা হয়েছিল। কয়েকটি চরিত্র লেখকের অনুমতি অনুসারে এ বইতে ব্যবহার করেছি। যাঁরা সেই দুটি উপন্যাস পড়েননি তাঁদের রসগ্রহণে কোন অসুবিধা হবে বলে আশঙ্কা করি না-যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা উদ্বাস্তু-জীবনসংগ্রামের একটা সামগ্রিক চিত্র পাবেন এমন আশা করা অসঙ্গত নয়।