শ্রুতিনাটকের জনপ্রিয়তা এবং সেই জনপ্রিয়তার হাত ধরে চলতে থাকা ফাঁকিবাজি- দুয়ে মিলে আসর এখন জমজমাট। আমার প্রথম শ্রুতিনাটক সংকলন ‘এক ডজন শ্রুতিনাটকএর প্রথম সংস্করণ দ্রুত শেষ হয়ে দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশ, এই ‘হাফ ডজন শ্রুতিনাটক প্রকাশে আমাকে এবং প্রকাশক সুধাংশশেখর দে-কে দুঃসাহসী করেছে, সন্দেহ নেই।
সন্দেহ বরং বাড়ছে, যাঁরা এই শ্রুতিনাটক মঞ্চে পরিবেশন করবেন তাদের সিনসিয়ারিটি নিয়ে। কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই বই বা স্ক্রিপ্ট হাতে নিয়ে মাইকের সামনে বসে পড়া, আর যাই করুক শ্রুতিনাটকের বিশিষ্টতা যে বাড়াচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য।
তবে উপায়! উপায় একটাই, উদ্যোক্তারা শ্রুতি-শিল্পী নির্বাচনের সময় তাদের বাজারি গ্ল্যামারের পাশাপাশি, পরিবেশন যােগ্যতার কথাটাও মাথায় রাখবেন। হাফ ডজন মানে ছয় অর্থাৎ ছটি নাটকের সংকলন এটি। যাঁরা পরিবেশন করবেন, তারা ইচ্ছে করলে নিছক সৌজন্যবােধে আমায় জানাতে পারেন, খুশি হব। স্বনামখ্যাত পার্থ ঘােষ এবং জোছন দস্তিদার স্নেহের দাবিতেই লিখেছেন এ বইয়ের ভূমিকা, অমল রায় লিখেছেন একটি মূল্যবান নিবন্ধ।