“বাংলাদেশের ইতিহাস(প্রাচীনকাল থেকে ১৯৭১)” বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া:
বর্তমান গ্রন্থটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস অনুযায়ী রচনা করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলার মধ্যযুগের ইতিহাসের বিতর্কিত অনেক বিষয় সমাধান হয়ে গিয়েছে। তাই সেসব বিষয়ে অহেতুক বিতর্ক না করে আমরা সমাধান হয়ে যাওয়া বিষয়কে তথ্য ও যুক্তির সাহায্যে দেখাতে চেষ্টা করেছি। যেমন—প্রাকমুসলিম যুগে বাংলাদেশে আরর ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের আগমন, ৬৯ হিজরিতে মসজিদ নির্মাণের প্রমাণ, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন না, তিনি ছিলেন মুঘলদের সুবাদার মাত্র। ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের সাথে মীর কাশিম বক্সারের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। বক্সারের যুদ্ধ হয় অযােধ্যার নবাব সুজাউদ-দৌলার সাথে ইংরেজদের যা প্রত্যেকটি সমসাময়িক গ্রন্থে যেমন—“রিয়াজ-উস-সালাতীন” “সিয়ার-উল-মুতাখখেরিন (২য় খণ্ড)” প্রথম বাঙালি বিলেত ভ্রমণকারী দিল্লির মুঘল দরবারের উজির মীর্জা শেখ ইতিমাসুদ্দিনের লেখা “বিলায়েতনামা” গ্রন্থে আছে। মুর্শিদাবাদের নবাবদের সরকারি চিঠিপত্র, ইংরেজদের চিঠিপত্র, দলিল থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়েছে।
গ্রন্থটি ২০১২ সালে বাংলাদেশের ইতিহাস (প্রাচীনকাল থেকে ১৯৭১ খ্রি. পর্যন্ত)” শিরােনামে চয়নিকা থেকে প্রকাশিত হয়। কিন্তু সে প্রকাশনার মান ও মুদ্রণ-ত্রুটি নিয়ে আমি মােটেই সন্তুষ্ট ছিলাম না। একারণে সম্পূর্ণ নতুন বিন্যাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিলেবাসের আলােকে নতুন তথ্যের ভিত্তিতে নতুন কলেবরে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হলাে।