প্রেম ও যুদ্ধ ন্যায়-নীতি মানে না। তার সঙ্গে মন যুক্ত, তবুও যুক্তির পাশ কেটে তার আবেগ হয়ে ওঠে প্রবল প্রতাপশালী। ন্যায়-নীতি ও বিবেক চলে যায় পেছনের সারিতে। ছোট অথচ বলশালী এই দুটি উপন্যাসে তছনছ হয়ে পড়ে মানবীয় গুণ ও শৃঙ্খলা। উপন্যাসের পাত্রপাত্রীরাও সেই অর্থে হয়ে পড়ে খেলার পুতুল। রিরংসা ও হত্যার ক্রীড়নক- প্রেম হয়ে পড়ে গৌণ ও অর্ধমণ, ঘৃণা ও সংকোচে বিহ্বল। ‘ভালোবাসার মরণনৃত্য’ উপন্যাসে অপাপবিদ্ধ নবীন যুবক আফতাব হয়ে যায় আত্দঘাতী, নাকি খুন! ষড়যন্ত্র বা নিয়তির শিকার! যে হত্যা করতে চেয়েছিল সে হয়ে যায় আত্দঘাতী বা নিহত। অন্যদিকে ‘জীবিত ও মৃত্যের প্রেম’ উপন্যাসে অসচরাচর এক প্রেম রহস্যের গভীরে নিয়ে চলে যায় বাস্তব ও কল্পনাকে। সংগীতে মুগ্ধ সুন্দরী কৃষ্ণকমলিকা ও তার বাবার জগৎ ফৌজদারহাট সমুদ্রসৈকত। সেই অবিশ্বাস্য বাস্তব-জগৎ চক্ষুগ্রাহ্য হয়ে ওঠে এই উপন্যাসে। এই জগৎ অসচরাচর, অলৌকিক, অবিশ্বাস্য, কিন্তু স্বপ্নবাস্তবময়; যে বাস্তবতা স্বপ্নের চেয়ে প্রবল, বাস্তবের চেয়ে রূঢ়, যেখানে অধরাকে ধরা যায়, আবার বাস্তব জগৎটাই হারিয়ে যায় সেই অবসরে। নিভৃত ছোট্ট পরিসরের উপন্যাস-দুটি ভাবনার বিন্দুতে সাগরতুল্য, উপভোগের আনন্দ-বেদনার সুখরাজ্যে তুল্যমূল্য।