“বুদ্ধদেব কেমন দেখতে ছিলেন” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
নিজের ছবি আঁকা কিংবা মূর্তি গড়া পছন্দ করতেন না বুদ্ধদেব। বলতেন, যে-দেহ নশ্বর, যা দু’দিন পরে ধুলায় মিশে যাবে, তাকে ধরে রেখে কী হবে। এই উপদেশ মনে রেখে শিষ্যরা কেউ তার মূর্তি গড়েনি, ছবিও আঁকেনি। এইভাবে কেটে গেছে দীর্ঘকাল। তারপর, যখন হাজার-হাজার মানুষ বুদ্ধের শরণ নিয়ে দীক্ষিত হলেন বৌদ্ধধর্মে, একদিন নতুন তাগিদে শুরু হল বুদ্ধদেবের মূর্তি গড়া ও ছবি আঁকার কাজ। রাজারা দিলেন অর্থ, প্রজারা অর্ঘ্য। দেশ-বিদেশ থেকে এলেন নামী-নামী শিল্পী আর ভাস্কর। কিন্তু কীভাবে জানা গেল, কেমন দেখতে ছিলেন বুদ্ধদেব? কীভাবে তৈরি হল। মূর্তি আর ছবি? সেই উত্তরেরই সযত্ন অনুসন্ধান এই গ্রন্থ৷ হাজার বছর ধরে ভাঙাগড়ার এক অজ্ঞাত ইতিহাস গল্পের মতাে সরস ভঙ্গিতে শুনিয়েছেন চিত্রা দেব। সেইসঙ্গে রয়েছে বুদ্ধদেবের জীবনকথা ও বৌদ্ধধর্ম প্রচারের কাহিনি, ভারতের প্রধান-প্রধান বৌদ্ধতীর্থগুলির নাম ও বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য ছবি। প্রকাশিত হল চিত্রা দেব-এর ‘বুদ্ধদেব কেমন দেখতে ছিলেন গ্রন্থটির পরিবর্ধিত, পরিমার্জিত সংস্করণ।