“হৈ রে বাবুই হৈ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
তেলের শিশি ভাঙলাে বলে/খুকুর ‘পরে রাগ করাে/তােমরা যে সব বুড়াে খােকা/ভারত ভেঙে ভাগ করাে’ আধুনিক কালের এই বিখ্যাত ছড়াটির রচয়িতা কে, অনেকেই হয়তাে চট করে তা মনে করতে পারে না, কিন্তু তা সত্ত্বেও, ‘ছেলে ঘুমােলাে পাড়া জুড়লাে/বর্গি এলাে দেশে’ কিংবা চাদ উঠেছে ফুল ফুটেছে। কদমতলায় কে’র মতাে প্রাচীন ছড়াগুলির সঙ্গে এটিও তাদের সকলের মুখে মুখে। ফেরে। স্রষ্টার নাম যখন গৌণ হয়ে গিয়ে কোনও ছড়া আবালবৃদ্ধ সকলের মুখে স্থান পায় তখনই ছড়া হিসেবে সেটি সার্থক বােঝা যায়। এমন সার্থক ছড়া লেখেন বা। লিখতে পারেন একালে মাত্র একজনই। তিনি অন্নদাশংকর রায়। লােকের মুখে মুখে ফেরার মতাে তার আরও অনেক ছড়া— ‘আধ মন চাল তার/এক থালা ভাত/কে খায় ? কে খায় ?/কৈলাসনাথ’; ‘ক’ রে, তােরা ক’!/শুধান তিনি, বর্ণমালায়/ক’টা । আছে স?’; ‘মুনু মুনু মুনিয়া/শিকারী নয় গাে ওরা/ওই সব খুনিয়া’, ‘খেলব না তাে গােলামচোর/ সবাই তােরা চালাক ঘোের: ‘বিজলীর ধারা এই/এই আছে এই নেই’ প্রভৃতি নিয়ে বেরােল এই নতুন ছড়ার বই ‘হৈ রে বাবুই হৈ’। প্রতিটি ছড়ার সঙ্গে আছে একাধিক মন-ভােলানাে ছবি— নামকরা আঁকিয়ে অহিভূষণ মালিকের আঁকা।