“অজ্ঞাতবাস” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
সে এক অদ্ভুত বাড়ি । বিচিত্র সব ‘ মানুষজন, মনুষ্যেতর পােষ্য । আটটা কুকুর, আঠারটা গােরু, তিন খাঁচা পাখি, ডজনখানেক বেড়াল। ডাক্তার বড়মামা, অধ্যাপক মেজোমামা, সংসারের হাল-ধরা মাসিমা, মিঠুন-ভক্ত কাজের লােক—মুকুন্দ । সে-বাড়িতে প্রায়শই অতিথি হয়ে আসেন। ভােজনবিলাসী এক কবি, আসেন। বাল্যবন্ধু এক জজসাহেব আর, যার চোখ দিয়ে এই বাড়ির মানুষজন ও অতিথি-অভ্যাগতদের নিয়ে দম-ফাটা হাসি ও মজা-মেশানাে এই গল্প, সে এবাড়িরই এক ক্ষুদে সদস্য। প্রদ্যুম্ন, ওরফে বুড়াে । মজা এবাড়ির সর্বত্র । প্রতিদিনের কথাবার্তায়, চালচলনে, কাজেকর্মে। সে বড়মামার ডাক্তারি নিয়ে কি বাজার করা নিয়ে । মেজোমামার কীর্তনদল-তাড়ানাে কি পুলিশ-ভাগানাে নিয়ে। কবিপ্রবর শরৎবাবুর ভুলাে মন। কি ভুল কোটেশন নিয়ে । জজসাহেবের সাইকেল হারানাে কি হারানাে সাইকেল ফিরে-পাওয়া নিয়ে। গল্প এবাড়ির আনাচেকানাচে । পূর্বপুরুষের, জমিদারির, ঠাকুরদেবতার, ডাকাতির সেই অজস্র মজা ও গল্পের সঙ্গে নতুনতর এক বিপদের মজা নিয়েই এই ঠাসবুনন উপন্যাস, ‘অজ্ঞাতবাস’ ।