“প্যারিসের পথে পথে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
এ গ্রন্থে ভ্রমণ বিষয়ক বর্ণনার সাথে লেখকের কথায় উঠে এসেছে দুটি দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার নানাবিধ অনুষঙ্গ। গ্রন্থটির নাম প্যারিসের পথে পথে হলেও ভ্রমণ লব্ধ অভিজ্ঞতার আলােকে বেলজিয়াম এবং ব্রাসেলসের উপরও আলােকপাত করা হয়েছে। এ ভ্রমণ কাহিনি রচনার ক্ষেত্রে লেখক গতানুগতিক ধারা বিবরণীতে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখেননি। ইতিহাস-ঐতিহ্যের নানা প্রপঞ্চকে প্রাসঙ্গিকভাবে সম্পৃক্ত করে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। চলতি পথে বাহ্যিকভাবে যা কিছু দেখেছেন এবং উপলব্ধি করেছেন তারই আলােকে লিখতে গিয়ে সার্বিক দিকের উপরও আলােকপাত করেছেন। এ কারণে এ ভ্রমণ কাহিনি একদিকে যেমন ঘটনা প্রবাহে ভরপুর অন্যদিকে তেমনি যথার্থভাবেই তথ্যবহুল। এ গ্রন্থে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, লুভর মিউজিয়াম, সেইন নদী, শহরের মেট্রো ব্যবস্থাসহ ফরাসি জাতির নানা পর্যায়ের আন্দোলন সংগ্রামের উপরও প্রসঙ্গক্রমে দৃপাত করা হয়েছে। একই সাথে ব্রাসেলসের অটোমিয়ামসহ ঐতিহাসিক নানা স্থাপনার সাথে ওই দেশের জাতিসত্তা বিকাশের বিভিন্ন অধ্যায়ের উপর করা হয়েছে যথার্থভাবে দৃষ্টিপাত। গ্রন্থটি পাঠ করে সদাশয় পাঠক সমাজ প্যারিস ও বেলজিয়ামের বহুবিদ বিষয় সম্পর্কে অবহিত হতে সক্ষম হবেন। সে সাথে ফরাসি এবং বেলজিয়ামের জাতিসত্তা বিনির্মাণ ও আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কেও লাভ করতে পারবেন সম্যক ধারণা।