“ইলিয়ড” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
পৃথিবীর সাহিত্যে উজ্জ্বল ও দীপ্তির এবং সৌন্দর্যের চিরায়ত স্বাক্ষর হিসেবে হােমারের ওডিসি এবং ইলিয়ড-এর তুলনা নেই। যেভাবে মানবজীবন উক্ত মহাকাব্য দুটিতে প্রকাশিত হয়েছে, যেভাবে কবিতা শব্দের উচ্চারণে এবং উপমার প্রসারতায় সমৃদ্ধ হয়েছে এবং যেভাবে মহত্ত্ব এক নতুন নির্দেশে উচ্চকিত হয়েছে তা কাব্যের পৃথিবীতে চিরকাল বিস্ময়ের সামগ্রী হয়ে থাকবে। ম্যাথু আরনল্ড হােমারের সৃষ্টিতে চারটি বিশেষ গুণ লক্ষ করেছিলেন— (ক) চিন্তার স্বচ্ছতা, যার ফলে তাঁর কাব্যের বক্তব্যের ঋজুতা এবং সরলতা এসেছিল; (খ) রচনা-ভঙ্গির স্বচ্ছতা, যার ফলে তাঁর কবিতার শব্দ ও উপমা-রূপক তীক্ষ্ণ ও নিঃসংশয় ছিল; (গ) দ্রুততা বা দ্রুতি; এবং (ঘ) মহৎ সত্যের উজ্জীবন’। এ-সমস্ত গুণ হােমারের কাব্যকে বিশিষ্ট করেছে; কিন্তু এ সমস্ত কিছু অতিক্রম। করে হােমারের একটি নিজস্ব তাপ আছে যা একান্তভাবে তারই। তাঁর ভাষায় এবং বর্ণনায় একটি তুলনাহীন অগ্নিদাহন’ এবং অসম্ভব উৎসাহ আছে। তাঁর কাব্যে জীবনের একটি উৎসাহিত, প্রাণবন্ত এবং অগ্নিতাপিত চেতনা আছে।