“মাইন ক্যাম্ফ” বইটির লেখকের কথা থেকে নেয়াঃ
১৯২৪ সালের ১লা এপ্রিল, মিউনিক গণ-আদালতের বিচারে লেখ নদীর তীরে ল্যান্ডস্বার্গের দূর্গে আমার কারাবাসের দিনগুলাে শুরু হয়। গত কয়েক বছরের অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের পর একটা কাজ করার মতাে সময় এই প্রথম আমার ভাগ্যে জোটে; অনেকেই আগে আমাকে অনুরােধ করেছে এবং আমি নিজেও ভেবেছি যে আমাদের সংগ্রামের পক্ষে এটা অত্যন্ত মূল্যবান। সুতরাং এই ভেবেই আমি এই বইটা লেখা শুরু করি, যার মূল উদ্দেশ্য শুধু সগ্রামটাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, তাকে উন্নত করাও। তাই এই বই থেকে এমন অনেক কিছু শেখার আছে যা তৎকালীন পারিপার্শ্বিক লেখা বা প্রবন্ধ থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
আমি কিভাবে উন্নতির সােপান বেয়ে ওপরে উঠেছি, এই বইয়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশে তা বর্ণনা করেছি। শুধু তাই নয়; আমার সম্পর্কে ইহুদী সাংবাদিকরা যে কল্পিত অপপ্রচার করেছে, সেটা ধ্বংস করার সুযােগও এই বইয়ের মধ্যেই আমি পেয়েছি। এই বই আমাকে দূরে সরিয়ে রাখবে না, বরং সগ্রাম যাদের হৃদয়ের দাবী তাদের কাছাকাছি আমাকে পৌঁছে দেবে, তাদের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে। আমি জানি যতাে লােককে মুখের কথায় কাজ করানাে যায়, লেখার দ্বারা তা সম্ভব নয়। প্রতিটি সৎ এবং মহৎ সংগ্রাম পৃথিবীতে যা সংগঠিত হয়েছে, তা জন্ম নিয়েছে মহৎ বক্তার বক্তৃতা থেকে, কোন বড় লেখকের লেখা থেকে নয়। যাইহােক, ভণিতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের দৃঢ় হাতিয়ার হিসেবেও লেখাটা প্রয়ােজন। সুতরাং এই বইটি তার ভিত্তিপ্রস্তুর।