‘দাদামশায়ের থলে’ বইয়ের ভূমিকাঃ
বাঙ্গালীর বুক হাসির স্বর্গ। বাঙ্গালীর ভাষা রামধনুর দেশ। বাঙ্গালার কথাসাহিত্য সে স্বৰ্গ আর রং-ধনু এ দুটিকে জীবন ও আনন্দের অজস্র শ্রাবণে গলাইয়া, ছড়াইয়া দিয়াছিল দেশময় পুষ্পবৃষ্টির মত।
সভায়, বৈঠকে, মজলিশে, অন্দরে, পাঠশালে, খেলাঘরে, ক্ষেত্রে, পথে, বিপণিতে বাঙ্গালীর শিশু-কিশোর, নৃপতি, শ্রমী, যুবা, বৃদ্ধ, পুরমহিলা, দেশের সব বয়সের ও সব শ্রেণীর নরনারীর দিন রাত্রি ছিল সেই ফুলের গন্ধে বিভোর, ফুল-গন্ধে জাগা।
সে সৌরভ ক্ৰমে সৌরভ সাগরে পরিণত হইয়াছিল। তাহার ঢেউয়ের উপর পাল তুলিয়া দিয়া বাঙ্গালীর প্রফুল্প মন যাত্ৰা করিত দিগ্বিদিকে।
ঐ প্রফুল্লতার জাদুর স্পর্শে দেশ-বিদেশে পুলক জাগিয়াছিল।
জাতির এ রস-সম্পদের পুষ্পকোমল কঙ্কাল-চিহ্নের উপাদান, এই আনন্দ বাঁশীর সৃষ্টির মূলে।
আবার বাজুক বাংলাতে সে রঙিন অমৃতের সুর।
কলকাতা দোলপূর্ণিমা
সূচিপত্র
“-রাজপুত্র! কথার অর্থ তো তা’ নয়,
কথার অর্থ এই—”
তিন রঙে ছাপা,-মুখপত্ৰ!
“হো! হো!” “হা! হা!”-১৭
“অত লোক কেন দেখ তো”-১৮
-সেই রাজ্যে!-১৯
“আমরা কি স্বর্গে এলাম?”-১৯
“স্বর্গ ছড়িয়া আবার কোথায় যাইব গো?”-২০
বাঁধিয়া নিয়া আসিল-২২
“তোর কি শাস্তি?”-২২
“চল্ এইবার”-২৩
সেইখান হইতে ক্যাঁক্ করিয়া ধরিয়া-২৪
-এ-ক টানে-২৫
ও-ই মাঠ হইতে হেঁচড়াইয়া টানিয়া-২৫
বনের ধার হইতে বাঘের মত গিয়া ধরিয়া আনিল-২৬
“দাও বেটাকে শূলে”-২৬
শূল বিঁধে না। -২৭
“হেঁইও হেঁইও হেঁইও”-২৯
সশরীরে স্বর্গে গেলেন-৩১
“হে! হে! হে!”-৩২
রোজই সাজা পায় -৩৪
চোরেরা জোড়হাত করিয়া থাকে-৩৫
থুব ভাল ঘোড়ার ডিম-৩৬
“ওই বাচ্চা গেল!”-৩৭
“হারাইয়া গিয়াছি”-৩৮
দূ-র করিয়া তাড়াইয়া দিলেন-৪০
“কার কলসীতে তেল বেশি?”-৪১
“অমন আগে পাছে হইল কেন?”-৪২
“এই যে, এই যে চোর ধরিয়াছি”-৪৩
“দেখি পাজি ইঁদুর কোথায় যায়!-৪৪
“পাজি ইঁদুর যাবি কোথায়!”-৪৪
“সব তো গিয়াছে!”-৪৫
খুশী হইয়া ঘাস কাটিতে লাগিল-৪৬
এই প্রথম শ্বাশুরবাড়ী যাইতেছেন-৪৮
“ঝাঁকার সব জিনিসের সেরা”-৫৩
“এই নিন”-৫৪
বসিয়া আছেন-৫৫
“কূ ঊ ঊ হুঃ!”-৫৭
“না না না না না।”-৫৯
“এ তো জামাই!!”-৬১
“ভ্যা-অ্যা অ্যা!চুপ্ চুপ্ ।” -৬২
বাইশ জোয়ান, তেইশ জোয়ান-৬৫
মাথাটা নিতে চলিল-৬৫
দুই পা তুলিয়া দিয়া রাগে গর্জ্জিতে লাগিল-৬৬
“বুঝি ও-ই বাড়ীর বিড়ালটা”-৬৭
“অমন করিয়া তালগাছ ধরিয়া দাঁড়াইওনা!”-৬৭
“কে হে?”-৬৮
গরু পথ পার করিয়া চলিল-৬৯
আকাশে তুলিয়া নিয়া গেল-৭০
সোনার কাঁটা দিয়া বাহির করিয়া ফেলিল-৭০
পার করিয়া নিতে আসিল-৭১
“কাঁকুড় কাট”-৭২
“দেখ তো এসে!”-৭৩
সৈন্যসামন্ত সব বাহির হইতে লাগিল-৭৩
“এই রকম করিয়া ঘুমাইতাম”-৭৮
সম্মুখে সত্যই দেবতা-৭৯
“রাজ্য চা”-৮০
ওমা!একি হল গো!”-৮০
“ওমা! মাথা নাই!”-৮১
কিছুই হয় না!-৮২
“ঠাকুর ঠাকুর,এঁ ঘঁড়া তোঁমাঁর”-৮৬
“কে তুমি?”-৮৯
“মোহরের ঘড়া!”-৮৯
“বেণের বাড়ীর সামনের পথ দিয়া বাড়ী যাইবেন”-৯১
“আসুন, আসুন।”-৯১
“অ্যাঁ-অ্যাঁ-উহুঃ!ওঃ!হা!”-৯৩
“আমার ক’টা মোহরের জন্য কত কষ্ট পাইলে”-৯৫
“নিজের অন্ন আমি ইরয়া লইতে পারিব।”-১০২
“আমার হুকুম চার প্রহর বাজাও”-১০৪
মাপ আরম্ভ করিল-১০৬
ঢেউ ঘণিতে আরম্ভ করিল-১০৯
“৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯”-১১১
“আজের মধ্যে ইঁদুর বংশের সমস্ত আমি ধ্বংষ করিব।”-১২৬
এই ভাবে দিন যায়-১৩৯
“না না না”-১৪০
“ধর! ধর!”-১৪৩
আর কোথা যায়!-১৪৪
নিয়া চলিল-১৪৫
“সুবুদ্ধি দিন”-১৪৬
“দেশভ্রমণে বাহির হও”-১৪৭
সমস্ত থামাইলেন-১৪৮