“মোবাইলের ধ্বংসলীলা (প্রযুক্তির ধ্বংসলীলা সিরিজ – ২)” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া আধুনিক জীবন হয়তো কল্পনাই করা যাচ্ছে না। এই প্রযুক্তির ভালো দিকের পাশাপাশি আছে এর খারাপ দিকও। আছে একে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সুযোগও। মোবাইল ফোনের আবিষ্কার, মোবাইল ফোন সংক্রান্ত মাসয়ালা, নামাজের ভিতরে মোবাইল আসলে করণীয় ও অন্যান্য বিষয়ে গবেষণামূলক আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে।
“মোবাইলের ধ্বংসলীলা (প্রযুক্তির ধ্বংসলীলা সিরিজ – ২)” বইয়ের ভূমিকা:
গত শতাব্দির শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারসমূহের মধ্যে অন্যতম হল মােবাইল ফোন। ক্ষুদ্র এই যন্ত্রটির কল্যাণে ঘুচে গেছে হাজার মাইলের দূরত্ব। দ্রুত প্রসার ও সহজলভ্যতার কারণে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবা সবার হাতেই এখন শােভা পাচ্ছে মােবাইল ফোন। আবিষ্কারের শুরু লগ্নে শুধু কথা বলার কাজে ব্যবহৃত হলেও আধুনিককালের মােবাইল ফোনের সাহায্যে করা যায় অনেক কাজ। এসএমএস, এমএমএস, ই-মেইল, ইন্টারনেট, ক্যামেরা, গেমিং, রেডিও, টিভির মতাে আকাশ মিডিয়ার সকল সুবিধা পাওয়া যায় এখন মােবাইল ফোনে। এমনকি হাল জামানার স্মার্টফোন দ্বারা কম্পিউটারের সাধারণ অনেক সেবাও গ্রহণ করা যায় অনায়াসে। ফলে একদিকে যেমন উন্মুক্ত হয়েছে অপার সুবিধার বিশাল দ্বার, তেমনি তৈরী হয়েছে নানাবিধ গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার অবাধ সুযােগ। অধিকন্তু মােবাইল এখন মানুষের জীবনের অনিবার্য অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এর ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত শরঈ বিভিন্ন মাসআলার সম্মুখিন হচ্ছেন। আর হুদহুদ প্রকাশন পথচলার প্রারম্ভ থেকেই সমসাময়িক বিষয়গুলাের ওপর গ্রন্থ-পুস্তক রচনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। তাই বেশ কিছুদিন ধরে হুদহুদ প্রকাশন এ বিষয়ে ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশনা, শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি ও তৎসম্পর্কিত যাবতীয় মাসআলা-মাসায়েল গ্রহণযােগ্য প্রমাণসহ মলাটবদ্ধাকারে প্রকাশ করার প্রয়ােজনিয়তা অনুভব করে আসছে। পরিশেষে সংশ্লিষ্ট মুরুব্বীদের মহানুভবতায় সেই গুরু দায়িত্ব অধমের কাঁধে চেপে বসে। অধমের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। কারণ, বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে কুরআন-হাদিস ও গ্রহণযােগ্য উৎস থেকে তৎসম্পর্কিত যাবতীয় মাসায়েল বিশদভাবে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। অধম কেবল ছড়ানাে ছিটানাে সেই মুক্তোগুলােকে কুড়িয়ে গ্রন্থিত করার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। আমীন।