বইটির নাম, ‘আত্মহত্যা : কারণ অনুসন্ধান ও প্রতিরোধ ভাবনা’। বর্তমান বইটি একটি গবেষণাভিত্তিক বই। এটি দীর্ঘ (প্রায় ষোল বছর) গবেষণার মাধ্যমে সংগৃহিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লিখিত হয়েছে ; সংশেষণ করা হয়েছে নানামুখী তথ্য ও তত্ত্ব। সামাজিক বিজ্ঞানে আত্মহত্যা বিষয়ে পঠিত হয়ে থাকে পশ্চিমা সমাজবিজ্ঞানীদের তত্ত্ব (মূলত: ইমাইল ডুর্খীম)। বর্তমান বইটিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা হয়েছে। বইটির বিশেষত্ব হলো, এখানে পনেরোটি সুইসাইড্ নোট আলোচনা করা হয়েছে এবং কয়েকটি এটেম্পটেড সুইসাইড্ কেসও আলোচনা করা হয়েছে। নানা বিশে¬ষণের মাধ্যমে সুইসাইড্-স্কেল তৈরী করা হয়েছে ; যা আত্মহত্য-মনস্ক মানুষের মনন বুঝতে সহায়তা করবে।
বইটিতে যেটি সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তাহলো আত্মহত্যা কিভাবে প্রতিরোধ করা যাবে সেবিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে রেজিলিয়েন্স তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে। ব্যাক্তির মধ্যে রেজিলিয়েন্স বৃদ্ধি করা হলে সে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে পারবে; এমনকি সমাজের মধ্যে যদি নানা রকম সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় তাহলেও সেটি করা সম্ভব। বইটি সামাজিক বিজ্ঞান, অপরাধ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ক্লিনিকাল সাইকোলজি ইত্যাদি সাবজেক্টে স্নাতক ও মাস্টার্স পড়–য়াদের জন্য জ্ঞান চর্চায় সহায়তা করবে। তাছাড়া, উন্নয়ন সংগঠন যারা মানব-উন্নয়ন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে তাদেরও সহায়তা করবে। প্রত্যাশা, মননশীল পাঠকরা প্রথমবার বাংলা ভাষায় এমন একটি গবেষণা বই পাবে যা ব্যাক্তি ও পারিবারিক জীবনের জন্য খুবই জরুরী।