“রিস্তেদারের কাঁটা” বইয়ের পিছনের কভারের কথা:
বাসু বললেন, “শােন টুকু, তােমার বয়স কম, অভিজ্ঞতাও অল্প। যে ঘটনা তােমাদের বাড়িতে ঘটেছে তার ছকটা অতি পরিচিত। যুগে যুগে, দেশে দেশে, এই নাটকটা অভিনীত হয়ে গেছে।… পরিকল্পনার ছকটা সব ক্ষেত্রেই এক রকম। অগাধ সম্পত্তির মালিক বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়েন—হয়তাে তখন তিনি বিপত্নীক, নিঃসন্তান। সম্পত্তির লােভে দূর-সম্পর্কের আত্মীয়েরা এসে জোটে। যারা এতদিন বৃদ্ধের দেখভাল করছিল, নানান ছুতায় তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাড়াপ্রতিবেশী শুধুদীর্ঘশ্বাস ফেলে। নৌকার হালটা কজা করার পরেই রিস্তেদারেরা দাবী করে, বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন! নিজের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা আর তার নেই। আদালত ওদেরই একজনকে সম্পত্তির অছি নিযুক্ত করে। এখানে নাটকের প্রথম অঙ্কের সমাপ্তি। দ্বিতীয় অঙ্কে বৃদ্ধকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোনও আরােগ্যনিকেতনে, নার্সিংহােমে, কখনাে বা মানসিক উন্মাদাগারে। সেই বিখ্যাত আরবীয় উটের ক্লাসিকাল কাহিনীটি পুনরভিনীত হয়। রিস্তেদারেরা স্থায়ীভাবে সম্পত্তির দখল নেয়—আর উট নিজের তাবু ছেড়ে বাইরে এসে হয়ে যায় ‘অবন-ঠাকুরের’ উট!