“স্বপ্নের মল্লিকা” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
মানুষের জীবন ক্ষণিকের হয়েও ক্ষণিকের নয়। জীবন ঘিরে থাকে বৈচিত্র্যতা। কিছু স্বপ্লোল্লাসের গুল্মলতায় ছেয়ে যায় জীবনের প্রতিটি পরত। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কিছু অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি বেঁচে থাকার মানে বদলে দেয়। যা কিছু থাকে অজানা, তাও আমাদের খুব চেনাজানা হয়ে ওঠে। স্বপ্নচারী হয়ে সাদা মেঘের বুকে মিশে যায়। দিগন্ত জোড়া স্বপ্নের চাদরের মনােহর বুননে আচ্ছন্ন যমজ আত্মা। যেন দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া শ্বেতশুভ্র। কপােত-কপােতী ভালবাসা-নির্ভর জীবন কানায় কানায় ভরে ওঠে। আজলা ভরে সুখ নিয়ে আসে অতৃপ্ত জীবনে। গােধূলি লগ্নে অজস্র ফুলের খিলখিল হাসি কাঁকনের রিনিঝিনি বদলে দেয় সমস্ত পৃথিবী। এই উপন্যাসে চেষ্টা করা হয়েছে নিখাদ প্রেম ভালবাসার সঙ্গে দুর্দমনীয় ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ তুলে ধরতে । যেকোনাে বাঙালির চেতনায় থাকবে পাকিস্তানের প্রতি তীব্র ঘৃণা। বুকে দেশপ্রেম হবে জাগরূক। পাশাপাশি থাকবে যুদ্ধাপরাধীর প্রতি আজন্ম ঘৃণা। বাঙালি হিসেবে এটি খুব স্বাভাবিক এবং সহজাত দিক হয়ে থাকবে। কিন্তু যখন দেখি কেউ সেই চিরায়ত পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে তার ভেতরের অমানবিকতা আর পশুত্ব দিয়ে। বাঙালি রক্তের ধারার সঙ্গে স্বাধীনতার বিপক্ষের রক্তের ধারা কিভাবে মিশতে পারে? নিজের চেতনাকে যারা কলঙ্কিত করছে লেখক তাদেরকে ধিক্কার জানায়।