মগ ভরে কফি এনে বিছানায় বসলাম আমি। মাথা নিচু করে ছিল তুসী। ঝট করে মাথা তুলে বলল,‘কোনো মানুষ জানা আছে তোমার, যে খুন করতে পারে, যাকে বলে প্রফেশনাল কিলার? বুকের ভেতটা কেঁপে ওঠে একটু। মুখের আদলটা চেঞ্জ হতে চায়, কোনো রকমে ঠেকিয়ে রাখি তা। কিছুটা জোর করে হাসি এনে বলি, ‘প্রফেশনাল কিলারকে কেন দরকার তোমার?’
‘তার আগে বলো আছে কি না?’
‘যদি বলি, আছে।’
‘নাম্বারটা দাও তার।’ ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করতে করতে তুসী বলে,‘যত টাকা লাগে দেব, একটা মানুষ খুন করতে হবে তাকে।’
মোবাইল ধরা তুসীর হাতটা চেপে ধরি আমি। মুখটা অরো হাসি হাসি করে ফেলি, ‘কাকে খুন করতে হবে বলো তো?’
আমার হাত থেকে তুসী ওর হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, ‘তোমাকে বলে লাভ নেই।’
‘তবুও শুনি না।’
পূর্ণ চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তুসী দৃঢ় গলায় বলল, ‘ড্যাডকে।’
‘হঠাৎ!’
শব্দ করে নিঃশ্বাস ছাড়ে তুসী, কিছু বলে না। বিছানায় পড়ে থাকা ওর হাতটাতে হাত রাখি আমি। আমি টের পাই বুকের ভেতরটা কাঁপছে ওর। একটু পর নাক টানার শব্দ কানে আসে আমার। চোখ দুটো বড় হয়ে যায়- গত তিন বছরে এই প্রথম তুসীকে কাঁদতে দেখলাম আমি। দেড় বছর আগে ওর প্রিয় ফুপু মারা গিয়েছিল, তখনো কাঁদতে দেখিনি ওকে। কিন্তু আজ কাঁদছে!