“পৃথিবীর প্রাচীনতম লিপিবদ্ধ গল্প : গিলগামেশের মহাকাব্য” বইটি সর্ম্পকে কিছু কথাঃ মেসোপটামিয়া মানব সভ্যতার আঁতুড়ঘর বলে গণ্য; তারি মহাকাব্য গিলগামেশ। এটি লিখিত বিশ্ব সাহিত্যের প্রথম প্রকৃত মহৎ রচনা বলে বিবেচিত। উরুকের রাজা গিলগামেশকে নিয়ে সুপ্রচীন সুমেরিয় পাঁচটি স্বতন্ত্র কাব্যের ভিত্তিতে এ মহাকাব্যটি রচিত। এর সূচনা খৃস্টপূর্ব ১৮ শতকে; এর ভণিতা ছিলো, সুতুর এলি শাররি (অন্য সকল রাজার উর্ধ্বে)। যে সব ফলকে এটা লিখিত ছিলো, তার অল্পই টিকেছে। খৃস্টপূর্ব ১৩শ ও ১০ম শতকে এর একটি প্রমাণ্য সংস্করণ রচিত হয়, যার ভণিতা ছিলো, শা নাকবা ইমুরু (যিনি অতল দেখেছিলেন)। মৃৎফলকে লিখিত এই দীর্ঘতরো মহাকাব্যের তিন ভাগের দুই ভাগ উদ্ধার করা গেছে। উৎকৃষ্ট কিছু ফলক খৃষ্টপূর্ব ৭ম শতকের এশিরিয় রাজা অশুরবানিপলের পাঠাগারের ধ্বংসাবশেষে পাওয়া যায়।কাহিনির প্রথম পর্বে, উরুকের জনগণের উপর রাজা গিলগামেশের নিপীড়ন রোধের জন্যে দেবতারা এনকিদু নামে এক বুনো মানব তৈরি করেন। প্রথমে যুদ্ধ করলেও, পরে তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যান। এবং সিডার পর্বতে অভিযান চালিয়ে বনের দৈত্যাকার রক্ষক হাম্বাবাকে পরাজিত করেন। তারা স্বর্গের বৃষকে বধ করেন। গিলগামেশ দেবী ইশতারের প্রেম প্রত্যাখ্যান করায়, তাকে শায়েস্তা করতে দেবী বৃষটিকে পাঠিয়েছিলেন। বৃষ হত্যার দায়ে দেবতারা শুধু এনকিদুকে মৃত্যুদ- দেন। বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত গিলগামেশ অনন্ত জীবনের সন্ধানে যান। তিনি বহু নির্মাণ কাজ করেন। তাই মৃত্যুর পরও তিনি খ্যাত হন।