জনাব আলহাজ্ব নূরুল ইসলামকে একজন সাধুসজ্জন ব্যক্তি বললেই কথা শেষ হবে না । বিদেশে কথা ও কাজে, চরিত্র মাধুর্য্যে এবং সাহিত্য রচনায় যারা বাংলাদেশকে উঁচু করে ধরেছেন, তাদের মধ্যে একজন । হবিগঞ্জের রাইয়াপুর গ্রামের এক কালের অধিবাসী জনাব নূরুল ইসলাম দীর্ঘ দিন থেকে যুক্ত রাষ্ট্রের নিউজার্সির বাশিন্দা-বলতে গেলে আর জীবনের সিকি অংশ বাদ দিলে বাকী জীবনটা এই বিদেশেই কাটছে । তবে আজ জীবন সায়াহ্নে এবং পৌঢ়ত্বে পৌঁছেও তিনি দেশের কথা দেশের মানুষের কথা ভাবছেন; ভাবছেন দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি-সমাজ-সভ্যতা-রাজনীতি প্রভৃতি নিয়ে এসব বিষয় তার সাধনার ফসল লেখা লেখিতে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে । তার লেখার সাহিত্যমান বিভিন্ন জনের দৃষ্টিতে বিভিন্ন রকম হতে পারে; কিন্তু তাতে যে প্রাণের স্পর্শ আছে, আছে আদর্শ চেতনা ও নীতিবোধের কথা, যারা তা পাঠ করেছেন তারাই উপলব্ধি করতে পারেন ।
তিনি শুধু দেশ প্রেমিকই নন । প্রবাসে দেশের যে কোনো মানুষকে কাছে পেলে তিনি সাধ্যমতো তাদের সাহায্য সহযোগিতায় নিজেকে নিয়োজিত করেন । আপদে বিপদে তাদের পাশে এসে দাঁড়ান। তার মধুর আচরণ আমি সল্প সময়ের জন্য হলেও প্রত্যক্ষ করেছি। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসানসহ অনেকের মুখে তার প্রশংসা শুনেছি । ১৯৯৮ সালের সম্ভবত মে মাসে এক বিরল মুহূর্তে তাঁর সাথে আমার পরিচয়, সেই সুবাদে আমার বাসায় একবেলা আতিথ্য গ্রহণেরও সুযোগ হয়েছিল তাঁর। তাঁর কয়েকটি বই পাঠ করারও সুযোগ হয়েছে আমার । আমার একান্ত স্নেহ ভাজন এবিএম সালেহ উদ্দীন তার প্রতিষ্ঠিত ‘বাড পাবলিকেশন্স’-এর মাধ্যমে তাঁর বইগুলো প্রকাশের উদ্যোগ নেয় । এবার এই ক্ষুদ্র পুস্তকটিও তারই উদ্যোগে প্রকাশিত হলো। শুনেছি, তিনি বর্তমানে বার্ধক্য জনিত নানা রোগে আক্রান্ত । জানিনা জীবনে তাঁর সাথে আমার আর দেখা হবে কিনা, তবে কামনা করছি তাঁর সুস্থ ও দীর্ঘজীবন । আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুন । তাঁকে দেশ ও দশের কথা ভাবা ও বলার তৌফিক দান করুন । আমীন ।