“রোহিনী নদীর তীরে” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
‘রােহিনী নদীর তীরে’ শফীউদ্দীন সরদার রচিত একটি অসাধারণ ঐতিহাসিক উপন্যাস। মূলত সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদে মুসলিম শাসকবৃন্দের যে। অবদান তাই এ উপন্যাসের মূল উপজীব্য।… ধন-সম্পদের লােভে অনিন্দ সুন্দরী তুলসীবাঈ-এর পিতা মেয়ের বিয়ে দেন অতিশয় রুগ্ন কংকালসার মৃগী রােগীর সাথে। জোর করেই মেয়েকে পাঠিয়ে দেন শ্বশুর বাড়ি। সহসাই স্বামীর মৃত্যু হয়। তখন তুলসীবাঈ-এর শ্বশুর বাড়ির লােকেরা ধরে-বেঁধে তাকে চিতায় পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করে। আর এর সব আয়ােজন চলে সম্রাট আকবরের অগােচরে। ঘটনাক্রমে সেখানে উপস্থিত হয়। সেনাপতি সরদার আব্বাস খা…শুরু হয় রাজপুতদের সাথে সরদার আব্বাস খর সংঘাত, সংঘর্ষ।… শেষ পর্যন্ত জ্বলন্ত চিতার আগুন থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে তুলসী বাঈয়ের জীবন রক্ষা করে মুসলিম সেনাপতি। আনন্দ-বিরহ, হাসিকান্না, উত্থান-পতনের নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা রােমাঞ্চে ভরা অত্যন্ত নাটকীয় অসাধারণ একটি ঐতিহাসিক উপন্যাসের নাম ‘রােহিনী নদীর তীরে।
শফীউদ্দীন সরদারের অন্যান্য বইয়ের মত বাংলা সাহিত্য পরিষদ ঢাকা । ‘রােহিনী নদীর তীরে ঐতিহাসিক উপন্যাসটিও জনপ্রিয়তা পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।