‘রনি’ দুরন্ত চঞ্চল। চঞ্চলতা কাটাতে বাবা তাঁকে ঢাকায় আত্তীয়দের বাড়িতে পড়তে পাঠায়। পচিশে মার্চের ভয়াল রাতে ঢাকার পরিস্থিতি চরম খারাপ হলে তার আত্তীয়রা গ্রামে রনিদের বাড়িতে চলে আসে। ওরা ঢাকার বীভৎসতার কথা বর্ণনা করে। তখনও মিলিটারি এ গ্রামে এসে পৌঁছায়নি।
মিলিটারি গ্রামে আসে। ক্যাপ্টেন নাদিম খানের নেতৃত্বে ধ্বংস যজ্ঞ শুরু করে। ডানপিটে রনির নিজেকে বড়ো অসহায় লাগে। আসার পথে নদীতে অসংখ্য মানুষের লাশ ভাসতে দেখেছে সে। আর তার বাবা কিনা রাজাকার হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দিতে তৎপর।
বাবার সাথে থেকে রাজাকার বাবার কাছ থেকে পাকিস্তানী বাহিনীর গতিবিধি জেনে মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নেয় রনি। গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে। এরপরই রনি জানতে পারে ঢাকা থেকে আরও দুই জিপ সৈন্য আসবে। তার বাবাকে নিয়ে ক্যাপ্টেন নাদিম খান ঢাকায় গেছেন। সে খবরটা জানায় মুক্তিবাহিনীকে। শুধু তার বাবাও সাথে আছেন এটা জানাতে ভুলে যায়। তারপর?…..