কাকলির সুর শিক্ষা
ঢাকার কিছু দূরে সাভারে কাকলিদের বাসা। কাকলিরা দুই ভাইবোন। কাকলির ভাইয়ের বয়স দশ আর কাকলির আট। ভাই আসিব পঞ্চম শ্রেণিতে আর কাকলি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আসিব সারাদিন পড়াশোনা আর খেলাধুলা নিয়ে সময় কাটায়। কিন্তু কাকলি একটু অন্যরকম। সে পড়াশোনার পর বাড়ির আশেপাশে বাগানে ঘুরে বেড়ায়। বাগানে কখনো সে ভোমরার সুর তুলে— কখনো মৌমাছির- কখনো মাছির, এমনকি মশার সুর তুলে ঘুরে বেড়ায়। তা দেখে কাকলির মা খুব ভয় পেয়ে যায়। তিনি ভাবেন, তবে কি তার মেয়ের বুদ্ধি অন্যদের চেয়ে কম? বিষয়টি নিয়ে কাকলির পিতার সাথে কথা বলেন।
তারপর দুজনে মিলে কাকলিকে ঢাকায় যেসব ডাক্তার ছোটদের মন আর বুদ্ধি নিয়ে কাজ করেন, এমন এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার সাহেব তাদের কথা শুনে বললেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই । কিছু কিছু শিশুর ছোটবেলার কাজ আর কথায় বোঝা যায় বড় হলে তারা কি হবে। কাকলির কর্মকাণ্ডে বোঝা যায় সে বড় হলে কণ্ঠশিল্পী হবে। এটা খুবই ভালো লক্ষণ ভবিষ্যৎ জীবনের। কাকলিকে নিয়ে, তাদের ভয় পাবার কোনো দরকার নেই ।
ডাক্তারের কথা শুনে কাকলির বাবা-মা কাকলিকে নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরল ।
মূলকথা : সকালের সূর্য দেখলে সারাদিনের আভাস পাওয়া যায়।