বইটির লেখকের কথা:
ঘুমন্ত ও দিকভ্রান্ত মুসলিম জাতিকে এগিয়ে চলার প্রেরণাদায়ী ও ঈমানী চেতনায় শাণিত করার মহাসৈনিক ড. আল্লামা ইকবাল (র.)। তাঁর ঐশীজ্ঞান ও স্রষ্টাতত্ত্বমূলক রচনা সুফিজগতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ রহস্যের সন্ধানে তিনি দক্ষ ডুবুরীরূপে গুপ্তজ্ঞানের স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। তাঁর অবদানের শ্রেষ্ঠতম বিষয় হচ্ছে ‘খুদীতত্ত্ব ও ঐশী জ্ঞানরহস্য যা তাঁকে মুসলিম চিন্তাজগতে উচ্চতম স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। মানব সাধারণকে তিনি আল্লাহর চরম ও পরমতত্ত্বের সন্ধান দিয়ে বিশ্বনবীর আদর্শ ও মহব্বতকে বিকাশের ধারায় সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যায়ে উন্নীত করার প্রয়াস পেয়েছেন।
উপমহাদেশ তথা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর রেনেসাঁর দিকপাল হিসেবে খ্যাত শতাব্দীর চিন্তাজগতের আলােড়ন সৃষ্টিকারী যুগশ্রেষ্ঠ মনীষী আল্লামা ইকবালের অবদান মুসলিম জাতিকে আজীবন ঋণী করে রাখবে। এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমতের অবকাশ নেই। তিনি একাধারে কবি, দার্শনিক ও সুফিতত্ত্বের মহান সাধক পুরুষ হিসেবে সমাদৃত। উম্মতে মুহাম্মদীর একনিষ্ঠ সেবক ও আশেকে রাসুল মাশুকে এলাহীর অনুগ্রহধন্য এই মহান কবি ও সংস্কারকের জীবন ও বাণী থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মুসলিম জাতি অতীত ঐতিহ্য, বর্তমান করণীয় ও ভবিষ্যতের আলােকিত জীবন গড়তে অনুপ্রাণিত হতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।
সেই মহান প্রত্যাশা নিয়েই আমরা আল্লামা ইকবালের জীবন, দর্শন ও ঐশীজ্ঞানের আলােচনাসমৃদ্ধ এ গ্রন্থের অবতারণা করেছি।
উৎসাহী ও আগ্রহী পাঠকগণ এ গ্রন্থের মাধ্যমে আল্লামা ইকবাল ও তার দর্শনতত্ত্ব সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে বুঝতে ও উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে বলে আমার আন্তরিক বিশ্বাস।