“বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। ২০০১ সালে নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার মধ্যে দিয়ে যে সন্ত্রাসবাদের শুরু, তা এখন ছড়িয়ে গেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। নতুন করে সিরিয়া ও ইরাকে জন্ম হয়েছে ইসলামিক ষ্টেট নামে অপর এক জঙ্গী গােষ্ঠির। আল কায়দার পাশাপাশি এই ইসলামিক ষ্টেট এর জঙ্গীরা মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে পারস্য অঞ্চলে বেশ তৎপর। সেখানে আল কায়দা বিভিন্ন নামে (যেমন আল কায়দা ইন ইসলামিক মাগরেব, আল কায়দা ইন ইরাক) তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেখানে ইসলামিক ষ্টেট এককভাবে একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী তৈরী করে সিরিয়া ও ইরাকের একটি অঞ্চল দিয়ে তাদের ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সন্ত্রাসবাদ এখন মানবতার শত্রু। বিশেষ করে সিরিয়ায় জঙ্গীবাদের ভয়াবহতার কারণে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ দেশান্তরিত হয়ে ইউরােপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। খােদ সিরিয়া এখন একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই সন্ত্রাসবাদকে কেন্দ্র করে দুই পরাশক্তি- একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে রাশিয়া সিরিয়ায় তৎপর। তাদের আলাদা আলাদাভাবে বােমা বর্ষণের পরও ইসলামিক ষ্টেটের জঙ্গীদের উৎখাত সম্ভব হয় নি। এরই মধ্যে সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে আলাদা একটি জোট, বাংলাদেশ যার সদস্য। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি গ্রন্থটিতে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের যে রূপ এবং সেই সন্ত্রাসবাদ মােকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। এটি মূলত একটি রেফারেন্স গ্রন্থ। এ বইটিতে সমসাময়িক বিশ্ব রাজনীতির আলােকে সন্ত্রাসবাদকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জঙ্গীবাদ বিস্তারের প্রসঙ্গটি আলােচনায় এসেছে। যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা রাখেন কিংবা জানতে চান, তাদের জন্য গ্রন্থটি অবশ্যই একটি পাঠ্য বই। এই গ্রন্থটি থেকে পাঠক বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের উৎস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটি ভালাে ধারণা পাবেন।