“পা কাটা পাপ্পু” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
অদ্ভুত, অন্য রকম একটা ছেলে পাপ্পু। বাপ্পী দু’হাত দু’দিকে প্রসারিত করে তাকে বলল, তােমার কথা শুনে অন্য রকম মনে হচ্ছে পাপ্পু তােমাকে। ভালাে লেগেছে আমার। আমি কি তােমাকে একটু জড়িয়ে ধরতে পারি? যাকে বলে বন্ধুত্বের বন্ধন।
ক্রাচ দুটো বেঞ্চের সঙ্গে ঠেকিয়ে রেখে পাপ্পুও দু’হাত প্রসারিত করল। দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে রইল কিছুক্ষণ। তারপর পাপ্পুর কানের কাছে মুখ নিয়ে বাপ্পী ফিসফিস করে বলল, ‘মাঝরাতে শশান ঘাটে একা একা বসে থেকেছ কখনাে?
না। তবে তুমি যদি বসে থাকো কখনাে, তাহলে আমিও বসে থাকতে পারব।’ স্পষ্ট গলায় বলল পাপ্পু। দু’হাত দিয়ে পাপ্পুর দু’কাঁধ চেপে ধরে সােজা হয়ে দাঁড়াল বাপ্পী, “থ্যাঙ্ক ইউ”। বেঞ্চে পাপ্পুকে বসিয়ে দিয়ে পাশে বসল সেও, কখনাে কারাে গাছের আম কিংবা লিচু চুরি করেছ?
না। তবে এটাও পারব।
মারামারি করেছ কখনাে কারাে সঙ্গে?
‘না, করিনি। তবে প্রয়ােজন হলে করব। সে আমাকে দুটো ঘুসি মারতে পারে, কিন্তু আমি মনে করি আমার একটা ঘুসিই যথেষ্ট। একবার পড়ে গেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
‘তােমার তাে দৌড়াতে একটু কষ্ট হবে।
‘দৌড়ানাের প্রশ্ন আসছে কেন!’ চোখ-মুখ কিছুটা কঠিন করে ফেলল পাপ্পু, যারা ভীরু তারা পালায়। যারা সাহসী তারা রুখে দাঁড়ায়। বুকের ভেতর যেমন সাহস থাকা প্রয়ােজন, তেমন থাকা উচিত সততা।
পাপ্পুর কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যায় বাপ্পী, চমকে উঠল পাশে থাকা অন্য সব বন্ধু।