‘আমাদের পাইলটস্যার এবং ভুতুড়ে ক্লাব’ বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: অদ্ভুত চরিত্রের মানুষ পাইলটস্যার। বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে তার তুলনাই হয় না। উদাহরণ দিয়ে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে ক্লাসের পড়া বুঝিয়ে বলেন। সব কিছুর মধ্যে যুক্তি খুঁজে বের করাটা তার স্বভাব। সুযোগ পেলেই সবাইকে যুক্তিবাদী হবার পরামর্শ দেন। তার শিক্ষার মূল কথাই হচ্ছে-প্রশ্ন করো, উত্তর খোঁজো, নইলে তুমি মানুষ কিসে!
প্রবল ভূত-বিরোধী এই মানুষটিও কখনো কখনো বলে ওঠেন-যতসব ভূতুড়ে কাণ্ড! প্রিয় ছাত্রেরা চেপে ধরে, ভূত না থাকলে ভুতুড়ে কাণ্ড হয় কেমন করে যুক্তির আলো ফেলে তারা যত সব ভূতুড়ে কেচ্ছা আর কাণ্ডকীর্তি বিশ্লেষণ করতে বসে। রহস্যঘেরা পরিত্যক্ত জমিদার মহলের নির্জনতায় গড়ে ওঠে তাদের ভুতুড়ে ক্লাব। সেই ক্লাবের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অত্যাচারী নীলকর টমসনের কুকীর্তি, ভৌতিক প্রতিশোধের মুখে নির্মম। পাকিস্তানি সৈনিকদের পরাস্ত হবার কাহিনী, জানা যায় পঁচাত্তরের পর থেকে টিচার্স রুমে দেয়ালঘড়িতে বার্ষিক এক মিনিট লেট হবার রোমাঞ্চকর ঘটনা।
শুরুতে পাইলটস্যারকে এড়াতে চাইলেও ভুতুড়ে ক্লাবের প্রথম মিটিংয়ের সময় প্রিয় ছাত্রদের মাঝে তার আকস্মিক এবং রহস্যময় উপস্থিতি সবাইকে চমকে দেয়। সেই চমক থেকেই গড়ে ওঠে রফিকুর রশীদের অনন্যসাধারণ কিশোর উপন্যাস ‘আমাদের পাইলটস্যার এবং ভুতুড়ে ক্লাব।