“মৌর্য সম্রাট প্রিয়দর্শী অশোক” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
‘ইতিহাসে বহু বিজয়ী রাজা এবং সেনানায়কের নাম শােনা যায়, কিন্তু স্রোতের মতােই জয়ের পর জয় আসছিল- এমন পরিস্থিতিতে অশােকই সর্বপ্রথম যুদ্ধ-বিগ্রহ ত্যাগ করার সংকল্প করে জগতে এক অসামান্য নরপতির স্থান অধিকার করলেন । সমগ্র ভারতবর্ষ তার আধিপত্য স্বীকার করেছিল, কেবল সর্ব-দক্ষিণের ক্ষুদ্র অংশটি ছাড়া, আর এটুকুও তিনি ইচ্ছা করলেই দখলে নিতে পারতেন, কিন্তু আক্রমণ তিনি সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করলেন। বুদ্ধের প্রচারিত সত্যের প্রভাবে তার মন ফিরল অন্য রকমের জয়ের দিকে, অন্য রকম ক্ষেত্রে।
– পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু
‘ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে হাজার হাজার নৃপতির নাম। ভিড় করে থাকা এত নামের মাঝে শুধু অশােকের নামটি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতাে দীপ্তিমান।
– এইচ. জি. ওয়েলস।
‘অশােক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম আকর্ষণীয় চরিত্র । তার ছিল চন্দ্রগুপ্তের মতাে তেজ, সমুদ্রগুপ্তের মতাে বহুমুখী প্রতিভা আর আকবরের মতাে উদারতা।
– হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী
‘অশােক ভারতের শ্রেষ্ঠতম এবং উদারতম শাসক। তিনি পৃথিবীর ইতিহাসের সেরা রাজাদেরও একজন।
– এ. এল, ব্যাশাম।
বর্তমানে আমরা কৌটিল্যনীতির দুনিয়ায় বাস করছি, কিন্তু আমাদের জরুরী ভিত্তিতে দরকার অশােকের নৈতিকতা।
– ব্রুস রিচ
‘অশােক ভারতের ইতিহাসের অসাধারণ কিছু চরিত্রের অন্যতম। …সব যুগ কিংবা সব জাতি অশােকের মতাে নৃপতির জন্ম দিতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে সম্রাট অশােকের সমকক্ষ আর কোনাে চরিত্র এখনও জন্মেনি।
– ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার
‘ইতিহাসে অশােকের মতাে আর কোনাে সম্রাট নিজের জন্য এত মহান লক্ষ্য নির্ধারণ করেননি। নিজের সেই মহৎ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাঁর মতাে এত কঠোর পরিশ্রমও আর কেউ করেননি।’
– আব্রাহাম এরালি