“এক দণ্ডিতের শেষ দিন” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
“মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শােনার আগ পর্যন্ত আমি নিশ্চিত যে আমার ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করছিল, হৃদপিণ্ড ধুকধুক করে চলছিল, আমার শরীর বহু মানুষের সমাগমে নির্দ্বিধায় দাড়িয়ে ছিল; আর তারপর, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম তাদের আর আমার মাঝখানে একটা দেয়াল উঠে দাড়াল। কিছুই আর আগের মতাে লাগছিল না।” গভীর অনুভূতিময় উপন্যাসটিতে বন্দী ধারাবর্ণনাকারী মৃত্যুদণ্ডের প্রতীক্ষায়- সে অপেক্ষা করছে আর অপেক্ষা করছে। যদিও তার অপরাধ অনস্বীকার্য, তবু আসন্ন অবধারিত মৃত্যুর আশঙ্কায় তার ভেতরের মানবিকতা জেগে ওঠে। ভিক্টর হুগাের প্রথম দিককার জ্ঞানগর্ভ লেখাগুলােতেও কালােত্তীর্ণ লা মিজারেবল উপন্যাসের মতাে একই পাঠকপ্রিয়তা পাবার ক্ষমতা লুকিয়ে আছে। ফাঁসিকাষ্ঠের বরাবর বিরুদ্ধাচারণ করা লেখক ভিক্টর হুগাে তার লেখা এবং বক্তব্যের মাধ্যমে বারবার চেয়েছেন যেন বিচারব্যবস্থায় সংযুক্ত মানুষদের মনে মানবিক অনুভূতি জাগে। এই কাহিনিটি লেখকের বিশ্বাসকে করেছে আরাে দৃঢ় এবং মৃত্যুদণ্ড নিয়ে চলতি বিতর্কে যােগ করেছে নতুন মাত্রা।