হিন্দু সমাজে একটি বড় বিভাজন হল বর্ণপ্রথা বর্ণ বলতে রং বােঝায় আবার বর্ণ বলতে বােঝায় বর্গ। এর একটি ইংরেজিতে কালার বা রেস এবং অন্যটি কাস্ট। মানুষের শরীরের চামড়ার রং এর ওপর ভিত্তি করে যে বৈষম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গী ও ব্যবস্থা সেটাই বর্ণবাদ (রেসিজম)নামে সমধিক পরিচিত। এর সূত্রপাত ইউরােপীয় ঔপনিবেশিক দখল ও আধিপত্যের মধ্য দিয়ে। ইউরােপীয় শ্বেতাঙ্গরা জন্মগতভাবেই উৎকৃষ্ট এই মতাদর্শ তৈরি করা হয়েছে ইউরােপের বাইরে ঔপনিবেশিক দখল, অশ্বেতাঙ্গদের শৃঙ্খলিতকরণ এবং শােষণশাসন নিশ্চিত করবার জন্য। পঞ্চদশ শতকের শেষ থেকে ক্রমান্বয়ে আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়া ইউরােপীয় ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে আসে। আমেরিকায় এই দখল নিশ্চিত করবার জন্য সেখানকার উচ্চ সভ্যতার নির্মাতা আদিবাসীদের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মানুষকে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে আফ্রিকার কালাে মানুষদের দাসে রূপান্তর করা হয় এবং তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকায়। ইউরােপীয় বণিকদের জন্য দাসবাণিজ্য খুবই লাভজনক হয়ে ওঠে। বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীও সেসময় থেকে তার ডালপালা ছড়িয়েছে।