“প্রবাসিনীর আনন্দ বেদনা” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
তামান্না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্রী। দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে সে প্রথম ছাত্রী, যে ব্যাচে ফার্স্ট হয়েছে। আড়িপাতা গ্রুপের সুবাদে তার শক্তিশালী লেখনীর সঙ্গে আমার পরিচয়। প্রবাসিনীর আনন্দ বেদনা গ্রন্থ বাঙালি মেয়ে, মা ও নারীর প্রতিচ্ছবির যেন এক শৈল্পীক ক্যানভাস, যা একাধারে বাস্তব ও স্বপ্নজাগানিয়া অনুভূতির পরশ দেয়। বিশেষ করে, বাঙালি মেয়েরা উন্নত দেশে গিয়ে প্রতিনিয়ত যে সকল প্রশ্ন ও সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা খুব সুন্দর ও উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছে। আমার সবচেয়ে ভালাে লেগেছে, উন্নত দেশে বাস করে নিজের কর্মজীবনের সাফল্য ছাপিয়ে তার মা-বাবার প্রতি সীমাহীন ভালােবাসা, দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি মমত্ববােধ এক সুতােয় বাঁধার নিপুনতা। যারা সীমিত সময়ের জন্যও পরবাসী হতে চায়, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায়, তাদের জন্য এই বইটি শুধু উপভােগ্যই হবে না, সম্ভাব্য যে সমস্যাগুলাে ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সমাজ জীবনে তাদের মােকাবিলা করতে হবে, সেগুলােও জানতে পারবে। ইট-কাঠ-পাথরের পরিবেশের একজন প্রকৌশলী জীবনের বিভিন্ন দিক কী ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ ও প্রকাশ করতে পারে, তা তামান্না নিজেই নিজের উদাহরণ। আমি আশা করি বইটি সবার জন্যই উপভােগ্য হবে।
ড. মােহাম্মদ কায়কোবাদ
প্রফেসর ও শিক্ষাবিদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়