“মুক্তিযুদ্ধ ও ত্রিপুরা :শরণার্থী, সংবাদপত্র ও সাধারণ মানুষ” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
একাত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সংবাদপত্র ও সাধারণ মানুষের ছিল অনন্য ভূমিকা। তাদের সাহসী ভূমিকা রণাঙ্গনের মুক্তিযােদ্ধাদের দিয়েছিল সাহস, শরণার্থীদের দিয়েছিল আশ্রয় ও সেবা, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশকে সর্বাত্বক সহায়তা দিতে। অন্যদিকে বহির্বিশ্বে গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের সমর্থনে এক ব্যাপক আন্তর্জাতিক জনমতের। কাঠের টাইপে শিরােনাম, সীসার হরফে ছাপা অস্পষ্ট সাধারণ দেশী কালির ছাপসমেত ট্যাবলয়েড সাইজের ৪ পৃষ্ঠা কখনও ২ পৃষ্ঠার পত্রিকাগুলাে যেন একেকটি বারুদের স্তুপ তৈরী করেছিল সেই সময়ে। ভ্রাতৃপ্রতিম জন-মানুষের সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও আতিথেয়তা ছিল বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম সম্বল। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা জড়িয়ে পড়েছিল এক অন্যরকম জনযুদ্ধে। সেই জনযুদ্ধের তিনটি প্রভাবক শরণার্থী, সংবাদপত্র ও সাধারণ মানুষের সেই সব দিনগুলাে উঠে এসেছে এই গ্রন্থে। এছাড়া লেখক তুলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধের বিদ্যমান ১১টি সেক্টরের পাশাপাশি নতুন একটি সেক্টরের আদ্যপান্ত। আরাে আলােচিত হয়েছে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ বিচার আন্দোলনের প্রাথমিক ইতিহাস।