বাসা কেবলই বদল করতে হয়। চেনা ঠিকানায় মন হাঁপিয়ে ওঠে। পায়ে পায়ে তবুও কিছু মনকেমন আটকে থাকে। অভিমান থেকে দূরে যাকে ফিরিয়ে দিলাম, সেই দুর্জয় মানই কূল ভেঙে বন্যা নামায়, ভেসে যায় অভিমানীর ভিটে। জীবনের দিকে মুখ ফিরিয়ে, ফিরে দেখে মনে হয়—
‘তুমি ভুলে গেছ যাকে সে কি মনে রাখে আর।
শুক্লপক্ষ, কৃষ্ণপক্ষ অন্তরের দাবীদার।
…ভূমিকন্যা, তুমি রূপে বহুজন-প্রশংসিত।
তবু নজ়রানা নয় এই প্রাণ ভূলুণ্ঠিত।’
ব্যক্ত যা তাই কি কেবল হৃদয় ছোঁয়? মন কি শব্দহীন নৈঃশব্দ্যকে পড়তে পারে না? নাকি চুপকথার আবেদন আরও, আরও সুদূরপ্রসারী? ভাবতে ভাবতে এ কোন কিনারে এসে দাঁড়াই আমরা? কবি বলেন—
‘আমি জানি নে কার ভালোবাসা নিতে হয়?
যে প্রেমের দুয়ারে টোকা দিয়ে ফিরে গেছে তার
না যে ব্যক্ত ভালোবাসার স্বার্থপর পূজারি, তার…।
উত্তর মেলে না। জীবনের লেফাফাবন্দী চিঠি ডাকঘরে ফেরে ভুল ঠিকানা ঘুরে। শুধু রাতের অন্ধকারে কিছু হৃদয় তাদের হাতে নিয়ে ভাবে—সত্যিই কি ভুল ছিল, লেন-বাইলেনে?