মা যখন বলল এক থাপ্পড়ে বত্রিশটা দাঁত ফেলে দেবে, ক্যাথরিনা কোমরে হাত রেখে জবাব দিল, দেখি তোমার কত বড় সাহস, একটা দাঁত ফেলোতো। তুমি একটা বেহায়া মহিলা। দিনের বেলা তালাকের কথা বল আর রাতের বেলা বেডরুমে বাবার সাথে খিলখিল করে হাসো আর খিল এঁটে ঘুমাও। তোমরা যে কী কর তা কি আমি জানি না? অসভ্য মেয়েলোক কোথাকার। দুটোর বেশি বাচ্চা হবার নিয়ম নেই। আর বেহায়ার মতো একটার পর একটা পয়দা করে চলেছ। কেউ যখন জিজ্ঞেস করে-কয় ভাইবোন, আমার মাথাটা হেট হয়ে যায়। কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোরের প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে নিত্যদিনের এসব মেট্রোপলিটন কথোপকথন আসলে আপনার নিজের এবং আপনার চারপাশের প্রতিটি সংসারের। কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর আসলে আপনারই লেখার কথা ছিল। আপনার চোখের সামনে প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে যে উপন্যাস রচিত হচ্ছে আন্দালিব রাশদী তা কেবল মলাটবদ্ধ করেছেন। কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর পড়তে শুরু করলে শেষ না করে যে উঠতে পারবেন না! আন্দালিব রাশদীর উপন্যাসের এটাই বড় সমস্যা, তিনি পাঠককে একটি ঘোরের মধ্যে আটকে রাখেন।