“দ্য গড অব স্মল থিংস” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
সত্যি বলতে কি ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল সত্যি ও বাস্তবতার নিরীখে। এটা হয়েছিল । সােফিমলের এইমেনেমে আসার পরপরই। হয়ত সত্যি হয়ে যে কোন সময় এটা বদলে। যেতে পারে। আসলে কয়েক ঘন্টার প্রতিক্রিয়াতেই চলে সারাজীবন। আর ঐ কয়েক ডজন। ঘন্টায় মানুষের জীবনের পরিবর্তনে অনেক ঘটনা ঘটে যা সবকিছু বদলে ফেলতে পারে এবং এটাই সত্যি কোন কারণে সবকিছু ফেলে যেতে পারে। যেমন অগ্নিদগ্ধ হতে পারে। কোন বাড়ি, ভাঙা ঘড়ি, ছবি, আসবাপত্র ইত্যাদি। অবশ্য এগুলাে ধংসস্তুপ থেকে। খুটে তুলে সংরক্ষণ করে হিসাব করা হয়। ছােট ছোট ঘটল মানুষের জীবনে দাগ কেটে অন্যরকম অর্থবহ হয়ে ওঠে। তখন হঠাৎ করেই এইসব জিনিস হয়ে যায় কোন কাহিনীর আনকোরা উপজীব্য। এভাবেই দেখতে হবে যে সােফিমল এইমেনেমে আসার পরই ঘটনাগুলাে হয়েছিল। সােফিমলের ছােট ছােট ঘটনাগুলাে একসময় বড় অন্ধকার রূপ ধারন করে। এসব নিয়ে যুক্তিতর্ক হতে পারে এমন ধারণা হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগে। মার্কসবাদীরা, ব্রিটিশরা, ডাচরা, ভাস্কো দা গামা, জ্যামােরিনরা কালিকট দখলের আগে। মূল কথা হলাে এসব শুরুহয়েছিল যখন ভালােবাসার নিয়মগুলাে তৈরি হয়েছিল এবং কেমন করে, কতটুকু? এই প্রশ্নগুলাে যখন উঠেছিল। ভালােবাসার আইনগুলাে তৈরি হয়েছিল। কে, কাকে, কতটা ভালবাসতে পারবে।