“গল্পে গল্পে হযরত ওমর (রা.)” বইটির প্রথম অংশ থেকে নেয়াঃ
আবু হাফস ওমর বিন খাত্তাব বিন নুফাইল বিন আব্দুল উজ্জা বিন রবাহ বিন আব্দুল্লাহ বিন কুরত বিন রজাহ বিন আদী বিন কা’ব বিন লুয়ী বিন গালিব আল কুরাশী আল আদায়ী। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। তিনি ছিলেন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী, সফল বিজয়ী। আল্লাহ তাআলা তার দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তাঁর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সেসব দুর্বল মুমিন ব্যক্তি থেকে কষ্ট দূর করেছেন, যাদেরকে কুরাইশরা চাবুক দিয়ে আঘাত করত, উত্তপ্ত বালিতে শুইয়ে পাথর চাপা দিয়ে রাখত। আল্লাহ তাআলা তার দ্বারা সত্য ও মিথ্যাকে স্পষ্ট করে দিলেন। তিনি অগ্রগামী মুসলমানদের একজন। তাঁর অনেক অভিমত আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেছেন এবং সে সম্পর্কে আয়াতও নাযিল করেছেন। তিনি দ্বীন ও ঈমানকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে শয়তানও ভয় পেত। স্বভাবগতভাবে তিনি কঠোর ছিলেন। তবে তিনি মানুষকে সাহায্য সহযােগিতা করতেন। তার চেহারায় গাম্ভীর্য অনেক বেশি ছিল। যে কেউ তাকে ভয় করত। তিনি অক্ষম ও রােগীদের সেবা করতেন। ন্যায়পরায়ণের আদর্শ ছিলেন। তিনি সম্মানিত খলিফাগণের একজন। ইসলামের জন্যে দুর্গের মতাে ছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে কাবাঘরে নামায আদায় করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে হিজরত করেছেন। তিনি সর্বদা সত্য কথা বলতেন। আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নে তিনি কাউকে ভয় করতেন না। রাসূল সাঃ ও তাঁর বংশনামা কা’ব বিন লুয়ীর সাথে গিয়ে এক হয়ে গেছে। তিনি আমুল ফিলের তেরাে বছর পর জন্মগ্রহণ করেছেন এবং হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।