সাহাবীদের জীবন চিত্র ২

৳ 375.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849109235
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩২০
সংস্কার 1st Published, 2015
দেশ বাংলাদেশ

বইটির সূচিপত্র:
সাহাবীদের নাম
১. হযরত আবু লুবাবা (রা)
২. হযরত আব্দুল্লাহ বিন রওয়াহা (রা)।
৩. হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ আল বাজালী (রা)।
৪. হযরত উবাই বিন কা’ব আল আনসারী (রা)।
৫. হযরত মায়সারা বিন মারুক আল আবসী (রা)
৬. হযরত হামজা বিন আব্দুল মুত্তালিব (রা)
৭. হযরত আবু আকীল আল আনীকী (রা)
৮. হযরত সাঈদ বিন আস (রা)।
৯. হযরত জুলাইবিব (রা) ।
১০. হযরত সা’দ বিন মুয়াজ (রা)।
১১. হযরত সাদ্দাদ বিন আউস আল আনসারী (রা)।
১২. হযরত আব্দুল্লাহ বিন যােবায়ের (রা)
১৩. হযরত কৃাকৃা’ বিন আমর (রা)
১৪. হযরত আবু উবাইদা বিন মাসউদ আত্সাকাফী (রা)
১৫. হযরত যযাবায়ের বিন আওয়াম (রা)
১৬. হযরত সিমাক বিন খরাশাহ্ (রা)
১৭. হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা)
১৮. হযরত মুসান্না বিন হারিসা আশায়বানী (রা)
১৯. হযরত সালামা বিন আল আকওয়া (রা)।
২০. হযরত আবু বাসীর উতৃবা বিন আসীদ (রা)।
২১. হযরত জায়েদ বিন সুনাহ্ (রা)।
২২. হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর বিন খাত্তাব (রা)
২৩. হযরত তুলায়হা বিন খুওয়াইলিদ আল আসাদী (রা)।
২৪. হযরত উবাদাহ্ বিন সামিত (রা)
২৫. হযরত ইয়াজিদ বিন আবু সুফিয়ান (রা)
২৬. হযরত আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রা)
২৭. হযরত আনাস বিন নযর আন্নাজ্জারী (রা)
২৮. হযরত রাফি বিন উমাইর আত্তায়ী (রা)
২৯. হযরত উসমান বিন মাজউন (রা)
৩০. হযরত কা’ব বিন মালিক (রা) ।
৩১. হযরত তামীম আদ্দারী (রা)।
৩২. হযরত আলা বিন হাজরামী (রা)
৩৩.হযরত মুগীরাহ্ বিন শু’বাহ্ (রা)
৩৪.হযরত মুআজ ও মুআউওয়াজ (রা)
৩৫.হযরত মুসআব বিন উমাইর (রা)
৩৬.হযরত আব্দুল্লাহ বিন আতীক (রা)
৩৭.হযরত মিকদাদ বিন আমর (রা)
৩৮.হযরত আমর বিন উমাইয়া আজ্জমিরী (রা)
৩৯.রাজিয়ের ঘটনা ও ছয়জন

১৯২০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর সিরিয়ার আরিহা শহরে জন্ম। জন্মের চার মাসের মাথায় বাবাকে হারান। চার বছর বয়সে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলে দাদার কাছেই লালিত-পালিত হন। সিরিয়ার প্রাচীনতম শরয়ী শিক্ষাগার হালাব শহরের মাদরাসা খুরভিয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। তারপর মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জন করেন উসূলে ফিক্হের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি। আল-আজহারে পড়াশোনা শেষ করে কায়রো ইউনিভার্সিটিতে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ড. আবদুর রহমান রা‘ফাত পাশা শিক্ষকতা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণাতেই জীবনভর সম্পৃক্ত ছিলেন। এক সময় দামেস্ক ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরব সফরে গেলে রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটি থেকে অধ্যাপনার প্রস্তাব পেয়ে সেখানেই স্থির হয়ে যান। আরবি ভাষার সেবা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণার পাশাপাশি মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সেখানেই কাটিয়ে দেন জীবনের বাকি বাইশটি বছর। ইসলামি সাহিত্যের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে ড. রা‘ফাত পাশা প্রধানত দুটো ভাগে কাজ করেছেন। এক. ইসলামের স্বর্ণযুগে রচিত দাওয়ামূলক কবিতা সম্ভারকে শিল্পের নিক্তিতে মেপে সমালোচনা। দুই.

ইসলামের অতীত ইতিহাসকে খ্যাত ও বিস্মৃত মনীষীদের জীবনীর আদলে অনন্য রচনাশৈলিতে উপস্থাপন।জীবনী সাহিত্যে রা‘ফাত পাশা যে কাজগুলো করে গেছেন, তা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবা’, ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়াত’ ও ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিত তাবেয়িন’ শিরোনামের তিনটি গ্রন্থ তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ‘আদ-দীন আল-কাইয়িম’, ‘লুগাত আল-মুসতাকবিল’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আরও বিপুল কাজ করে গেছেন তিনি। ৬৬ বছর বয়সে প্যারালাইসিসের কারণে ড. রা‘ফাত পাশার শরীরের একাংশ বিকল হয়ে যায়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় ডাক্তারের পরামর্শে কিছু দিনের জন্য হাওয়া বদলের উদ্দেশে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান এবং সেখানেই জুলাইয়ের ১৮ তারিখ মুতাবেক ১১ জিলক্বদ ১৪০৬ হিজরী শুক্রবার রাতে ইন্তিকাল করেন। ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক ‘ফাতেহা’ গোরস্তানে তাঁকে সমাহিত করা হয়, যেখানে শুয়ে আছেন বিপুল সংখ্যক সাহাবী আজমাঈন ও তাবেয়িনে কেরাম।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ