“তিনটি উপন্যাস” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ভালােবাসারই কাহিনি তিনরকম। বাহির থেকে অন্তরে। পরিধি থেকে কেন্দ্রে। নিরুপম রাজধানী’ বিবৃতিধর্মী বৃত্তান্ত, দিল্লির সরকারি দপ্তর, দু-তিনটি পরিবারের অনুষঙ্গে জড়ানাে এক নবীন যুবার চলাচল—অনুপম। অভিজ্ঞতাবলীর নিরিখে যৌবনযাপনের কথা। ছবি, কবিতা, সংস্কৃতি-জগতের প্রসঙ্গও এসেছে। তােমার কাছেই ফিরে আসব। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পাওলাে কোয়েলহাের দর্শন অনুপ্রাণিত। আদ্যন্ত কল্পবিজ্ঞান আবহে একরকম রূপকথা। উপলবন্ধুর ঘটনাস্রোতে এক আশ্চর্য যাত্রাপথ, পৃথিবীর বাইরে চলে যাওয়া মানুষরা যেখানে প্রজন্মান্তরে পুনর্বার পরিচিত পৃথিবীতে ফিরে আসছে। মহামারিতে, যুদ্ধে, ভূমিকম্পে জলােচ্ছ্বাসে পুরােনাে পৃথিবী মানুষের বসবাসের যােগ্য ছিল না আর। উপগ্রহ-উপনিবেশেও মানুষের মধ্যে সেই লােভ, হিংসা, আধিপত্যবিলাস, অমরত্ববাসনা – তবু সব ছাপিয়ে জিতে যায় ছােটোবেলার ভালােবাসাবাসি, যে মাটিতে চোখ মেলে প্রথম আকাশ দেখা, সেই শাশ্বত শিকড়ে ফেরার আনন্দ্যাত্রা। কাল একাদশী’ ও অস্তিত্বের শিকড় স্পর্শ বাসনায় বাস্তব ও পরাবাস্তব জীবনের নানান ঘটনাবলি চিহ্নিত করতে করতে হালকাচালে চলে, কখনও তার গতি থ্রিলারধর্মী, কখনও আমিষ আধিভৌতিক – আসলে আত্মদীপেরই অনুসন্ধান, আনুষঙ্গিক আঁধার পেরিয়ে। স্বপ্ন-কবিতা-কল্পনা-ছবি অতিক্রম করে, বিষয় শুধু মানুষ আর মানুষ।