“ওরা পাঁচজন” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ওঁরা পাঁচজন বয়স্কা মহিলা একে অপরের বন্ধু। ওঁদের ছেলেমেয়েরাও স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। ওঁরা পুরীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। যাবার সময় ট্রেনে কত কথা, কত হাসি, কত পুরােনাে দিনের ঘটনা মনে পড়ে যাওয়া। সেই বয়সে যেসব ঘটনা ওরা পাত্তাও দেননি, বেশি বয়সে সে সব বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। মঞ্জুষা যখন স্কুলে যেত রােজ একটি ছেলে ওর দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। পরে আবার একদিন দূর থেকে তাকে দেখেও ছিল। ছেলেটি কেন দাঁড়িয়ে। থাকত তা আজ অবধি মঞ্জুষা জানতেও পারেনি। সৰ্ব্বানীরও অল্পবয়সে দেখা, একটু চেনাজানা সেই ভদ্রলােকের সঙ্গে দেখা এই পুরীতেই। রীতা একবার ছেলেকে নিয়ে, পুজোর বাজার করতে গিয়েছিল। ভিড়ের মধ্যে ছেলে হারিয়ে গিয়েছিল। একটু পরেই অবশ্য তাকে পাওয়া যায়। সেই ছেলে এখন বিদেশে, বিয়েও হয়ে গেল। শ্যামলী ছােটোবেলায় বন্ধুর সঙ্গে গ্রামের কালীপুজো দেখতে গিয়েছিল। যে কোনাে গল্পকথাতেই ওঁদের সে কী নির্ভেজাল হাসি। নিজেদের জীবনের সুখদুঃখের আলােচনাও হল বিস্তর। এখন ওঁরা সবাই আবার বাড়ি ফিরে এসেছেন। জীবন আবার আগের মতাে। ওঁরা পাঁচজন আবার হই-চই করছেন, গল্প করছেন, আনন্দ করছেন।