অপ্সরা সব মানুষের মাঝেই নাকি ‘প্রেমিক’ হৃদয় লুকিয়ে থাকে! আসিফ মেহ্দীর মাঝেও নিশ্চয় আছে। তা না হলে রম্য আর সায়েন্স ফিকশনের জগৎ থেকে তিনি হঠাৎ প্রেমের উপন্যাস লেখায় হাত দিলেন কেন? অবশ্য আসিফ মেহ্দীর এই উপন্যাসটিকে ঠিক প্রেমের উপন্যাসও বলা যাবে না। কী বলা যায়-সামাজিক উপন্যাস? মানুষের জীবনের নানা দিক প্রতিফলিত হয়েছে বলে এটিকে বরং জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস বলাই ভালো। এর আগে নিয়মিত রম্যগল্প, সায়েন্স ফিকশন আর ন্যানো কাব্য লিখলেও ‘অপ্সরা’ নামের এই উপন্যাসটিই আসিফ মেহ্দীর লেখা প্রথম জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস। উপন্যাসটি কতটুকু জীবনঘনিষ্ঠ হয়েছে, তাতে কতটুকুই বা জীবনবোধ রয়েছে, পড়ার পর সে সিদ্ধান্তটা পাঠকই নেবেন। জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাসে অভিষিক্ত আসিফ মেহ্দীর সফলতাও নির্ভর করছে সেই সিদ্ধান্তের ওপরই। অপ্সরা ও আসিফ মেহ্দী-উভয়ের জন্যই শুভকামনা। – পাভেল মহিতুল আলম লেখক ও আইডিয়ানিস্ট, রস আলো মায়া এক অসহ্য অনুভূতি মেয়েটিকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তার মনে হয়, সে ঘরের মধ্যে রেপড হয়! এমন নানা চিন্তার জাল বিস্তার লাভ করে তার ব্রেনটাকে জাপটে ধরে বসে আছে। তার ধারণা, সমাজ আয়োজন করে তাকে একজনের লিগ্যাল প্রস্টিটিউট বানিয়েছে। নিজের অনিচ্ছাতেও সেই খদ্দেরকে তার সুখী করতে হবে! জিসানের সাথে তার কাগজে-কলমে বিয়ে হয়েছে ঠিকই; কিন্তু মনের দাম্পত্য কখনোই হয়নি। কই, তার কখনোই তো ভালোবেসে মানুষটিকে কাছে টেনে নিতে ইচ্ছা করেনি। টানহীন-মায়াহীন এই সংসার আর কতটা টেনে নিতে হবে, তার জানা নেই। অপ্সরার স্পর্শ কাজু মিয়ার হোটেলে কোণার একটি টেবিলে অপ্সরা বসেছে। স্মৃতিময় টেবিলটির দিকে তাকিয়ে তার চোখ দুটো ছলছল করে উঠল। অপ্সরার মনে হলো, তার বুকের ভেতর কষ্ট, মাথার ভেতর কষ্ট, চোখের ভেতর কষ্ট! টেবিলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে সে কিছুক্ষণ চিন্তাহীন-ভাবনাহীন-অনুভূতিহীন একজন ‘কেউ না’ হিসেবে থাকতে চায়! অপ্সরা চরিত্রটি আসিফ মেহ্দীর এক অনন্যসাধারণ সৃষ্টি। এই চরিত্রের প্রথম বই ‘অপ্সরা’ পড়ে অপ্সরার জন্য কাঁদেননি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কাহিনির জীবনঘনিষ্ঠতা পাঠকের মন জয় করেছে বলেই বইটি ছিল বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। ‘অপ্সরা’ চরিত্রের দ্বিতীয় বই ‘অপ্সরার স্পর্শ’র জন্যও ভালোবাসা!