মোহাম্মদ নূরুল হক একযুগেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। চিন্তার মৌলিকত্ব তাঁর রচনাকর্মে উদ্ভাসিত। সৃজনশীল কিংবা মননশীল প্রবন্ধের ক্ষেত্রে প্রশ্নশীল ও স্বতন্ত্রধারা সৃষ্টি করে তিনি ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। তার প্রবন্ধ গল্প-উপন্যাসের মতো কেবল পাঠকের মনোযোগ দাবিই না, পাঠককে চিন্তার গভীরেও টেনে নেয়। নতুনচিন্তা ও বিচিত্র বিষয়ের উপস্থাপন এবং তত্ত্ব বিশ্লেষণ ও যুক্তিপ্রয়োগে তার প্রবন্ধ হয়ে ওঠে তীক্ষ্ম, স্বতন্ত্র। তাঁর প্রবন্ধের বিষয় বিচিত্রমুখী। প্রাচীন ভাষাভঙ্গিকে মাঝেমধ্যে বর্তমানের প্রচলভঙ্গির সঙ্গে মিশেল দেওয়ার ক্ষমতা তার সহজাত। এ কারণে তার ভাষাভঙ্গি একটি স্বতন্ত্র রূপ ধারণ করেছে। অনেক বিষয়ে তিনি নিজস্ব অভিমত প্রকাশে অকুণ্ঠ। কবি ও গল্পকার হওয়া সত্ত্বেও প্রবন্ধের প্রতি অত্যধিক আকর্ষণের কারণেই এ মাধ্যমেই তার কাজের কেন্দ্রবিন্দু তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের কবি ও কবিতার মূল্যায়নধর্মী বেশ কটি ক্ষুরধার প্রবন্ধ নিয়ে প্লাটফর্ম থেকে প্রকাশিত হলো তাঁর ‘কবিতার সময় ও মনীষার দান’ গ্রন্থটি। এটি কবিতাভুবনের যে কোনো পাঠকেরই ভালো লাগবে আশা করা যায়। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর