“ঝরা পালক” বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
‘ঝরা পালক’ (১৯২৭) জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ; পরবর্তীকালে যিনি বাংলাভাষার প্রধান চারজন কবির একজন হবেন, তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের এ ঘটনার মূল্য অবশ্যই ঐতিহাসিক, কিন্তু কেবল ঐতিহাসিক নয়, এই গ্রন্থের মূল্য প্রাতিস্কিকও বটে। আসলে প্রাতিস্বিকতাই এর ঐতিহাসিক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। জীবনানন্দ দাশ যে জীবনানন্দ দাশই, অন্য কেউ নন, তার প্রমাণ এ বইতে আছে। যে জন্য এ বই হারিয়ে গিয়েও হারিয়ে যায় না, উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকে। জীবনানন্দ এর আগে লিখতেন জীবনানন্দ দাশগুপ্ত নামে, ‘ঝরা পালকে’ তিনি গুপ্ত পদবি ত্যাগ করেছেন, জানিয়ে দিচ্ছেন ভবিষ্যতে কোন নামে পরিচিত হবেন।