“কবিতা, অমীমাংসিত রমণী” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
“এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছাে আমার অস্তিত্ব? পাচ্ছাে না? একটু দাঁড়াও, আমি তৈরি হয়ে নিই।
এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছাে আমার অস্তিত্ব? পাচ্ছাে না?
তােমার জন্মান্ধ চোখে শুধু ভুল অন্ধকার। ওটা নয়, ওটা চুল।
এই হলাে আমার আঙুল, এইবার স্পর্শ করাে, না, না, না,
– ওটা নয়, ওটা কণ্ঠনালী, গরলবিশ্বাসী এক শিল্পীর মাটির ভাস্কর্য, ওটা অগ্নি নয়, অই আমি, আমার যৌবন।
সুখের সামান্য নিচে কেটে ফেলা যন্ত্রণার কবন্ধ-প্রেমিক, ওখানে কী খোজ তুমি? ওটা কিছু নয়, ওটা দুঃখ;
রমণীর ভালােবাসা না-পাওয়ার চিহ্ন বুকে নিয়ে ওটা নদী, নীল হয়ে জমে আছে ঘাসে, – এর ঠিক ডানপাশে, অইখানে হাত দাও, হ্যা, ওটা বুক, অইখানে হাত রাখাে, ওটাই হৃদয়।
অইখানে থাকে প্রেম, থাকে স্মৃতি, থাকে সুখ, প্রেমের সিম্ফনি; অই বুকে প্রেম ছিল, স্মৃতি ছিল, সব ছিল, তুমিই থাকো নি।”