“বাংলাদেশের পাখি ও বন্যপ্রাণী” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
পাখি ও বন্যপ্রাণী নিয়ে যিনি একটানা লিখে চলেছেন বিগত ৪৩ বছর যাবত। বাংলাদেশের এমন কোনাে জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকপ পত্রিকা। নেই যেখানে তার একাধিক লেখা ছাপা হয়নি। শরীফ খান। জন্ম যার পাখি ও বন্যপ্রাণীর রাজ্যে। বৃহত্তর খুলনা জেলা যখন নিবিড়-ঘন গ্রামীণ অরণ্যে আচ্ছাদিত ছিল— মনে হতাে আদিম অরণ্যের ভেতরে। ছােট ছােট কুঁড়েঘর বেঁধে বাস করে আদিম মানুষেরা জনসংখ্যা ও বসতি কম ছিলতাে! তখন ছিল। “রবীন্দ্রনাথের সােনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ ও জীবনানন্দের রূপসী বাংলা”— গ্রামগুলাে ছিল যেন শিল্পীর আঁকা ধ্রুপদী চিত্রমালা। কুঁড়েঘরে জন্ম যে শিশুর যে বেড়ে উঠল পাখি, বন্যপ্রাণী ও বন-বাগান দেখতে দেখতে যে শিশুটি বাড়ির উঠোন, গাছপালা বা আশেপাশের মাঠ-বিল-জলাশয়ের পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখতে দেখতে তরুণ হয়ে উঠলাে- তিনিই শরীফ খান। প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিভাবলে তিনি আত্মস্থ করেছেন সব ধরনের পাখি ও বন্যপ্রাণী। নগর বাউল’ এই লেখক প্রকৃতি ও পাখিকে ছাড়েননি এই ৬৬ বছর বয়সেও। তাইতাে তার বহু প্রকাশিত লেখাকে একত্রিত করে এই বইটির পাণ্ডুলিপি আমাদেরকে দিয়েছেন- এগুলাে আগে গ্রন্থভুক্ত হয়নি। বাংলাদেশের পাখি ও বন্যপ্রাণী বইটি পড়লে তার মেধা, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ও লেখনি ক্ষমতার পরিচয় মিলবে। তার লেখা পড়লে পাঠকেরা তার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে পারবেন পাখি ও প্রকৃতির রাজ্যে এ বিশ্বাস আমাদের আছে। আশ্চর্য তার লেখনি কুশলতা। এই বইটিতে পাখি যেমন আছে, তেমনি আছে অন্যান্য। বন্যপ্রাণীর উপরে লেখা বিচিত্র অভিজ্ঞতা হবে পাঠকদের, জানা যাবে অনেক কিছু। এই বইয়ে আছে। অনেক-অনেক ছবি সেগুলােও পাঠককে মুগ্ধ করবে। সব বয়সী পাঠককে আকৃষ্ট করবে এই বইটি আকর্ষণ করবে পাখি-প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী প্রেমী পর্যবেক্ষক ও গবেষকদের এমন বিশ্বাসও আমরা রাখি। পাখি ও বন্যপ্রাণীদের আচার-আচরণের বর্ণনা লেখক দিয়েছেন আশ্চর্য কুশলতায়।