“বিবাহিত ব্যাচেলর” বইয়ের ভূমিকাঃ
রাজ ভাই (চিত্র পরিচালক, মুহাম্মদ মােস্তফা কামাল রাজ) বললেন ঈদে নাটক বানাবেন। সেটা তাে উনি প্রতিবারই বানান। কিন্তু এইবারের নাটকটা আমাকে লিখতে হবে। রাজ ভাই একটা কনসেপ্ট দিলেন। গল্পটা হবে এলাকার কিছু ব্যাচেলর ছেলেকে নিয়ে। ব্যাচেলর আমার খুবই প্রিয় টপিক। আমার মতে দুনিয়ার সবাই ব্যাচেলর। বিয়ের আগে সবাই ব্যাচেলর থাকে। বিয়ের পরে যখন বউ রাগ করে চলে যায় তখন সে অল্প কিছু সময়ের জন্য আবার ব্যাচেলর হয়ে যায়। এরাই আসলে বিবাহিত ব্যাচেলর। খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। নাটক লিখতে গিয়ে দেখলাম গল্প তাে শেষই হচ্ছে না। একটি চরিত্রের কথা খুব লিখতে ইচ্ছে করছিল। লেখা অবশ্যই যাবে। কিন্তু নাটকে দেখানাে যাবে না। কারণ নাটকের ডিউরেশনে পােসাবে না।
লিখলাম আর একটা নাটক ‘ভালবাসার রং’। এই নাটকটি বানায় সহিদ উন নবী। নবী ভাই বিবাহিত ব্যাচেলর নাটকে বন্টু চরিত্রে অভিনয়ও করেছে। যাই হােক, দুইটা নাটক লেখার পরেও আরাে অনেক অনেক কথা থেকে যায়। বিবাহিত ব্যাচেলরদের কথা এত জলদি ফুরাবে না। ভাবলাম বই লিখে ফেলি। কিন্তু বই লিখেও শান্তি পেলাম না। মনে হচ্ছে এখনও আরাে অনেক কিছুই বলা বাকি আছে। কোন একভাবে সব কথাই লিখব। হয়তাে বই, নাটক অথবা সিনেমা। বিবাহিত ব্যাচেলরদের কথা আমি বলবই।
নােট: এই আইডিয়া নিয়ে কাজই হতাে না যদি বন্ধু রবিন মুল ধাক্কাটা না দিত। রবিনকে ধন্যবাদ ধাক্কা দেয়ার জন্য।