বলিষ্ঠ এক বঙ্গবন্ধুকে দেখে এলাম নােয়াখালীতেবলিষ্ঠ এক বঙ্গবন্ধুকে দেখলাম নতুন করে। দেখা হলাে গায়ে গায়ে, পথে পথে-ননায়াখালী জনপদে। শেখ হাসিনার সঙ্গে টানা পাঁচদিনের সফরে।
কে বলে মুজিব মৃত? আমি তাে বারে বারে দেখেছি এক বলশালী বঙ্গবন্ধুকে। তােরণে তােরণে, মিছিলে মিছিলে, রাস্তার দুধারে সারিবদ্ধ জনতার লাইনে। ঘরের চালে, দালানের ছাদে, গাছের ডালে ডালে দেখেছি, পােস্টারফেস্টুনে দেয়ালের লিখনে অতি শক্তিশালী এক মুজিব জেগে। সর্বত্রই মুজিব প্রেমের এক আবেগঘন স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। বৃহত্তর নােয়াখালীতে সমসাময়িককালে এমন জনস্রোত আর কখনাে দেখেনি কেউ। সেই ফেনীর ফুলগাজী থেকে সােনাগাজী। তারপর রাজাপুর থেকে মাইজদীকোর্ট।
২ এপ্রিল নির্ধারিত ৩টি বিশাল জনসমাবেশের সঙ্গে যুক্ত হয় অনির্ধারিত আরাে অন্তত ৩০টি পথসভা। কয়েক গজ দূরে দূরেই গেট-স্বাগত মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। হাতে হাতে মালা, পুস্পস্তবক কত। গাড়ি থেকে নামা চাই। সাজানাে মঞ্চে উঠে কিছু বলা চাই। নিদেনপক্ষে একনজর দেখার জন্য গাড়ি থামিয়ে রাখা চাই কিছুক্ষণ।
শেষ চৈত্রের তাপদাহ টের পাইয়ে দেয়ার মতাে। তবু কোথা থেকে ছুটে আসে এত মানুষ। পুরুষেরা আসে, নারীরা আসে। মায়ের কোলে, বাবার বাহুবেষ্টনীতে শিশুরাও আছে। হাতে হাতে ফুল, অথবা ফুলের মালা। ওরা আসে মুজিব কন্যাকে দেখতে। মিছিলে মিছিলে শত শত তরুণের কণ্ঠ উচ্চকিত। এখানে তারুণ্যের উপচেপড়া ঢল। উষ্ণ মাতাল হাওয়ার মধ্যে ভরদুপুরের ফুলগাজীর মাঠে জনতার ঢল নেমেছে।