বিশ্বায়নের প্রতিশব্দ হিসেবে ফাস্ট ফুড ব্র্যান্ডের নামে ম্যাকডোনাল্ডাইজেশন সুপ্রতিষ্ঠিত। জর্জ রিটজারের বিখ্যাত বই দ্য ম্যাকডোনাল্ডাইজেশন অব সোসাইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৩ সালে। সভ্যতার বিকল্প নাম ম্যাকডোনাল্ডাইজেশন। তখন আমাদের খাবার বিশ্ববাজার ধরতে পারলে সভ্যতার নাম হতো মরণ চাঁদায়ন কিংবা ফকরুদ্দিনায়ন। বিশ্বায়নের প্রতিশব্দ হিসেবে ঠাঁই পেতে পারত আমাদের কোনো একটি দেশি ব্র্যান্ড। মরণ চাঁদের মিষ্টির দোকানে ছেয়ে যেতো ল্যাটিন আমেরিকা, হাজি কিংবা ফকরুদ্দিনের বিরিয়ানিতে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। বাসে ট্রেনে লঞ্চে নির্ধারিত নারী-আসনের উপরিভাগে পুরুষমানুষের ব্যর্থতার বিবরণ ও উত্তরণের রেসিপি দিয়ে যেসব বিজ্ঞাপন সাঁটানো থাকতে দেখা যায় তা কি আপনার চোখে পড়েনি? যদি পড়ে থাকে, আপনি পুরুষ হোন নারী হোন কিছুটা বিব্রত তো হয়েছেনই। মায়া, ইনকা, হরপ্পা, ওয়ারি-বটেশ্বর, গ্রিক, রোমান, ম্যাকডোনাল্ডায়নÑ যত সভ্যতার কথাই বলুন না কেনো বিংশ শতকের শেষে এসে ভায়াগ্রা সভ্যতা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। এ বিব্রতদশা কাটাতে আন্দালিব রাশদীর একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ ‘ভায়াগ্রা সিভিলাইজেশনের কৃত্রিম জাগরণ’ আপনাকে পড়তেই হবে। প্রবন্ধ শুনলেই যারা সিরিয়াস হয়ে ওঠেন, অকারণে চেহারাটা কষা-রোগগ্রস্ত মানুষের মতো হয়ে যায় এবং গুরুগম্ভীর একটা কিছু পাঠের প্রত্যাশা করেন এই বইটি তাদের জন্য নয়। প্রবন্ধও হতে পারে বহমান কাহিনীর মতো সুখপাঠ্যÑ এমন লেখা যারা পড়তে চান তাদেরই জন্য আন্দালিব রাশদীর কৃত্রিম জাগরণ ও অন্যান্য রচনা।