“টুনটুনির গল্প” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
স্বভাবজাত ভাবনা-কল্পনার ভিতর দিয়ে শিশুরা প্রতিদিনের আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। শিশুদের এই সৃজনীপ্রতিভা তৈরিতে বড়দের মুখে শােনা গল্পগুলির দারুণ প্রভাব রয়েছে। দাদা-দাদি, নানা-নানি কিংবা দিদিমা-ঠাকুরদার কণ্ঠে রূপকথা, উপকথা, জাতকের গল্প ও পুরাণকাহিনির মতাে কল্পলােকের মজার মজার গল্প শুনে শিশুদের মনের ভিতর সৃজনশীলতার প্রথম শ্রুতিপাঠ ও অভ্যাস গড়ে ওঠে। কল্পনার কোনাে আয়তসীমা নেই বলে শিশুরা এই বানানাে মজার গল্পগুলি মনের আনন্দে বারবার শুনতে আগ্রহী হয়। একবার দুবার নয়, বহুবার শুনলে বা পাঠ করলেও এর আবেদন বাচ্চাদের স্নিগ্ধ মন থেকে ফুরায় না। উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরী এইসব গল্পের অনুপ্রেরণা নিয়ে হালকা চালে শিশু-কিশােরদের মনের উপযােগী সহজ সুন্দর ভাষায় অভিনব গল্পের ধারা প্রবর্তন করেন। ‘টুনটুনির গল্প’ তাঁর শিশুসাহিত্য নিয়ে অবিস্মরণীয় বইগুলাের একটি। বাচ্চাদের মনে অভিনব আনন্দের দরােজা খুলে দিয়েছে তাঁর লেখা এই গল্পগুলাে। খেলাধুলার পাশাপাশি বাচ্চারা এই গল্পগুলাে পাঠ করে নতুন আনন্দ উপভােগের সুযােগ পায়। সম্ভবত শিশুদের প্রথম সাহিত্যিক পাঠ উপেন্দ্রকিশােরের রচনার মধ্য দিয়েই প্রবর্তিত হয়।